মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দেশের যুব সসাজকে রক্ষা করতে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক মসজিদেরর ইমাম, সাংবাদিকসহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে এক যোগে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামান। তিনি বলেন, মাদক মানুষেন মস্তিষ্ক নষ্ট করে। মাদকের কুফল সস্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। মাদক নিয়ন্ত্রন করা না গেলে ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবেনা।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা র্যাব ৭ এর কাযার্লয়ে আয়োজিত এই মাদকদ্রব্য অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন,এক সময়ে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে ফেনসিডিল আসতো।আমাদের সিমান্ত নিয়ন্ত্রণের কারনে এখন তা অনেকাংশে কমে এসেছে।আমরা ভারতকে তাদের সিমান্ত এলাকার ফেনসিডিল কারখানাগুলো বন্ধ করে দিতে বলেছি।
তিনি বলেন,এখন মাদক হিসেবে ইয়াবা ব্যপাক আকার ধারণ করেছে।বহনে সহজ হওয়ায় ইয়াবার ব্যাপকতা বাড়ছে। মায়ানমার থেকে ইয়াবার প্রবেশ ঠেকাতে আমরা সেদেশের সরকারের সাথে কথা বলছি। নাফ নদীতে টহল বাড়ানো হয়েছে।বিজিবি ও কোস্টগাডর্ কে শক্তিশালী করা হচ্ছে। নাফ নদীর গহীন এলাকা নিয়ন্ত্রণে বিজিবিকে একটি হেলিকপ্টার দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন,সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকায় আমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে পেরেছি।সবাই চেষ্টা করলে মাদকও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। আমরা আর কোন ঐশী দেখতে চাইনা।আমার সন্তানদের এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে মাদকের মূল জায়গায় আঘাত করতে চাই।
অনুষ্ঠানে ধ্বংস করা হয় ১৭৮কোটি ২৭লক্ষ ৪৫হাজার টাকার ইয়াবা ৩২কোটি ৭০লক্ষ পিছ,৭১৮১ বোতল ফেনসিডিল, ২০০বোতল বিদেশী মদ ও বিয়ার, ২০০ কেজি গাজা।
উপস্থিত ছিলেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ,র্যাব ডিজি বেনজির আহমেদ,চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন,সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা,সিডি এ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম,সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী,আবদুল লতিফ,দিদারুল আলম প্রমুখ।
