
চট্টগ্রাম সরকারী হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে অভ্যন্তরীণ বিরোধে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের তিনজন ছুরিকাঘাতে গুরুত্বর আহত হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন- মোঃ বাপ্পি (১৮), আনোয়ারুল আজিম শাহিন (২২) ও মোঃ সোহেল (২১)।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ফেইসবুকে স্টাটাস নিয়ে দুপুরে কলেজ ক্যম্পাসে নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের সাথে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ছুরিকাঘাতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আবু হামিদ জানান, ছুরিকাঘাতে আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এদের মধ্যে বাপ্পি ও সোহেলের পেটে ছুরিকাঘাত হওয়ায় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার ব্যাপারে মহিউদ্দিন অনুসারী হারুনুর রশিদ হৃদয় জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে নাসির গ্রুপের বাপ্পিসহ কয়েকজন এসে আমাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে শাহিন ও সোহেলকে ছুরিকাঘাত করলে শাহিনও তাকে ছুরিকাঘাত করে।
নাসির গ্রুপের অনুসারী বোরহান উদ্দিন বলেন, গত বৃহস্পতিবারে কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসা প্যনেল মেয়র হাসান মাহমুদ হাসনী তার ফেইসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। নিচে শাহীন সাবেক মেয়র গ্রুপের অনুসারীরা খারাপ কমেন্ট করায় তাদের বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে যায় বাপ্পি। এতে কথাকাটা কাটির এক পর্যয়ে শাহীন বাপ্পিকে ছুরিকাঘাত করে।
চকবাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর নুরুল হুদা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আমাদের একটি টিম সার্বক্ষনিক কলেজ গেইটে থাকলে ঘটনাটি পাহাড়ের উপরে হওয়ায় সেখানে যেতে পারেনি।
তিনি বলেন, কলেজের গেইট দিয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম থাকলেও কলেজের পেছন দিয়ে বহিরাগতরা সবসময় প্রবেশ করে থাকেন। বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে বারবার বলা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোন পদেক্ষেপ নেননি। তাহলে অনন্ত এসব ঘটনা আর হতো না।
এ ব্যাপারে মহসীন কলেজ অধ্যক্ষ অঞ্জণ কুমার নন্দীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।