ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কক্সবাজারের লালদীঘি ভরাট করেই চলছে মুচি মাকের্ট নির্মাণ

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

Coxsbazar laldigi picture 22.6.2016
এই সেই ঐতিহাসিক লালদীঘি যেখানে কক্মবাজারবাসীর অনেক স্মৃতি জড়িত। ছবি: শাহজাহান চৌধুরী শাহীন

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহি লালদীঘি ভরাট করেই চলছে মুচি মাকের্ট নির্মাণ কাজ। বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের মুখেও থেমে নেই মার্কেট নির্মাণ কাজ। ফলে সচেতন মহলে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। মাত্র কয়েকজন মুচির ভাগ্য বদলানোর জন্য শতবর্ষীয় এই লালদীঘি এখন শুধু ইতিহাস হতে চলেছে। লালদীঘি খনন ও ঐতিহ্য রক্ষার দাবীতে বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রীর কাঝে স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করেছিল।মাঝ পথে তাদের সেই আন্দোলণও থেমে যায়।

কক্সবাজারের ঐতিহ্যের ধারক বাহক লালদীঘিটি নিচিহ্ন হতে চলেছে। পর্যটন শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত এ লালদীঘি নামের বিশাল দীঘিটি একসময় ছিল প্রাণচাঞ্চল্য। এখানে সাঁতার প্রতিযোগিতা, বড়শী দিয়ে মাছ ধরাসহ স্থায়ী ও অস্থায়ী জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত গোসল সহ দৈনন্দিন ব্যবহার ছিল স্বতঃস্ফুর্ত।

বর্তমানে লালদীঘির সেই আগের জৌলুস আর নেই। লালদীঘির পাড় বেশির ভাগ অংশ দখলদারদের কবলে চলে গেছে। সংস্কার বিহীন অবস্থায় থাকতে থাকতে লালদীঘি পানি শূণ্য হয়ে পড়ে। দৃষ্টি নন্দন লালদীঘিতে গ্রীস্মকালে কিশোররা ক্রিকেট খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহার করছে। বলতে গেলে কক্সবাজারের মানুষ এখন পানি সংকটে ভূগছে। এক সময় লালদীঘি থেকে পানি নিয়ে শহরের অপ্রত্যাশিত অগ্নিকান্ড নেভানোর কাজে ব্যবহার করত ফায়ার সার্ভিস । এখন লালদীঘি পানি শূণ্য। পানি নেয়ার সুযোগও নেই। লালদীঘি বর্তমানে মরা পুকুর।

তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী লালদীঘি সংস্কার করে পূর্বের অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য কক্সবাজারের সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়ে আসছিল। কিন্তু ঘটেছে তার উল্টো।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে লালদীঘি সংস্কার না করেই দীঘির পশ্চিমপাশে মুচি মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করে পৌর কর্তৃপক্ষ। পুকুরটির তলদেশ থেকে কিছু মাটিও সরানো হয়েছে। এছাড়াও পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত জোতা সেলাইয়ের দোকান গুলো স্থায়ীভাবে নির্মাণের জন্য পুকুরে পাড়ে স্থায়ী পাকা দালান নির্মাণ কাজও শুরু করেছে।

কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন বলেন, শুধু শহর নয় পুরো জেলার ঐতিহ্য হচ্ছে লালদীঘি। এই দীঘিটি সংস্কারের উদ্যোগ না নিয়ে মুষ্টিমেয় কিছু মুচির স্বার্থ চিন্তা করেই লালদীঘিরপাড় দখল করে পাকা দালাল নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ লালদীঘির ঐতিহ্য রক্ষায় কোন উদ্যোগ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।

এব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, জোতার কারগির’রা দীর্ঘদিন যাবত এই শহরে ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর তাদের কথা চিন্তা করে এবং তাদের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ মুচি মার্কেট নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি নির্মানাধীন দোকান ঘর গুলো থেকে পৌরসভার রাজস্ব আয় হবে বলেও জানান তিনি ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print