ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বাশঁর সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে ফটিকছড়ি পৌরসভা ও পাইন্দং ইউনিয়নের ৩ গ্রামের মানুষ। জীবনের ঝুকিঁ থাকা শর্তও প্রতিদিন পারাপার করতে হচ্ছে শিশু,নারী-পুরুষ ও কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ হাজারো মানুষকে।
বিকল্প কোনো পথ নেই যে পথে যাতায়াত করবে। এ অবস্থায় নড়বলএ ঝুকিঁপুর্ণ বাঁশের সাকোঁটি ভেঙ্গে ঘটতে পারে মারাত্বক দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফটিকছড়ি সদর-বেড়াজালী বিকল্প সড়কের বাইন্নে পাড়ার উত্তর পার্শ্বে ও তেতুলগাছ নামক
স্থানের পশ্চিম পার্শ্বে ধুরুং খালের বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে ওই সড়কে সৃষ্টি হয় বিরাট আকারে গর্ত। ফলে গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসী উদ্যোগে নিমার্ণ করা হয় ওই বাঁশের সাকোঁটি। সাঁকোটি দেখে মনে হয় সাকোঁ নয় যেন মরণ ফাঁদ। মানুষ পারাপর হওয়ার সময় সাঁকোর বাঁশের খুঁটিগুলো কেঁপে ওঠে। তার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিেয় যাতায়াত করছে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড ও পাইন্দং ইউনিয়নের শ্বেতকুয়া ও বেড়াজালী গ্রামের হাজারো মানুষ।

ফটিকছড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র আরিফ উদ্দিন জানান, আমরা প্রতিদিন এই ঝুঁকিপুর্ণ নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হয়ে কলেজে যাইতে হয়। মানুষ পারাপার হওয়ার সময় বাশেঁর সাঁকোর খুটিগুলো কেপে উঠে। তারপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় তাদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় এ সাঁকো দিয়ে।সড়কটি দুরত্ব সংস্কারের দাবী এলাকাবাসী। এব্যাপারে পাইন্দং ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মুনসুরুল আলম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে আমি একটা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর দরখাস্ত করেছি। তাছাড়া এটা দুরত্ব সংস্কার করার জন্য চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবহিত করেছি। আশা করি অতিশীঘ্রই এটা সংস্কার কাজ করা হবে।