ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বার বার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে মিয়ানমারের সামরিক হেলিকপ্টার

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিয়ানমার উস্কানিমূলক আচরণ করছে বলে দাবি করেছে ঢাকা। এছাড়া সংকট সৃষ্টির পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক হেলিকপ্টার বারবার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এ পর্যন্ত দেশটি ১৭ বার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র জানায়, মিয়ানমারের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনার বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। কিন্তু বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ উপায়ে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে সমস্যার সমাধান করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশনা রয়েছে বলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে। সে কারণে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট সতর্কতার সঙ্গে মোকাবেলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে বিদ্যমান সংকট নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে আসা ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।

রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে বৃহস্পতিবার বিশেষ বিমানে কক্সবাজারে আসছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কেভুসগলু। তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন।

অপরদিকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চীনের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াঙ্গকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এই সহায়তা চান। তবে এ ব্যাপারে চীনের সাড়া কতটা মিলবে তা নিশ্চিত নয়।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২৫ আগস্ট দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলায় মিয়ানমারের ১১ জন পুলিশ নিহত হওয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। সেনা অভিযানে কমপক্ষে চার শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পক্ষ এটাকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করছে। রাখাইন রাজ্য থেকে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তারা অভিযোগ করছেন, মিয়ানমারের সেনা অভিযানে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ এবং বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে।

জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচসিআর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, রাখাইন রাজ্যে এবারের সহিংসতার পর তাদের হিসাবে এ পর্যন্ত এক লাখ ২৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। সংস্থাটি সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় নিতে আসা বেসামরিক লোকদের পর্যন্ত হত্যা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে নয়াপাড়া ও কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৩০ হাজার। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। অনেকেই আবার বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তের ওপারে অপেক্ষা করছেন।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print