
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার সময় উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিন সোনাপাহাড় গ্রামের ছাদু মিয়া বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সৃষ্ট আগুনে শেখ মোহাম্মদ, নুর মোহাম্মদ, এয়ার মোহাম্মদ ও দোস্ত মোহাম্মদের বসতঘর পুড়ে যায়। এতে নগদ ৮ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন রাজিয়া সুলতানা ও নুর মোহাম্মদ।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ নুর মোহাম্মদ জানান, তিনি কয়েকদিন আগে কুয়েত থেকে বাড়িতে আসেন। সোমবারের অগ্নিকাণ্ডে তার ভিসা লাগানো পাসপোর্টসহ ঘরে থাকা সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুজিবুল হক বলেন, গত শনিবার জাতীয় গ্রীডের লাইনের নিচে একটি গাছের ঢাল কাটতে গিয়ে শর্টসার্কিটে মফিজুর রহমান নামে একজন মারা যায় এবং আরো ২ জন আহত হয়। পরপর কয়েকটি ঘটনা ঘটলে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের অবহেলার কারণে আজকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মীরসরাই ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশনের ইনচার্জ আবু মোঃ শরীফ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। জাতীয় গ্রীডের বিদ্যুতের তারের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
পিডিবি সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়া গ্রীডের সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডে খবর পেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাসহ ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। বিদ্যুতের তারের সাথে গাছের ঢাল থাকায় ওই জায়গাটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। শীঘ্রই গাছের ঢাল কেটে তারগুলো ঝুঁকিমুক্ত করা হবে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়সার খসরু। তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারীভাবে সকল ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি জাতীয় গ্রীডের তারের নীচের গাছের ঢাল দ্রুত সময়ের মধ্যে কাটার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনকে নির্দেশ দেন।