
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কেন্দ্রে ডুকে প্রভাব বিস্তারকালে র্যাবের হাতে আটক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ জামাল আহাম্মদ। প্রায় ২ঘন্টা পর নেতা কর্মীদের চাপেরমুখে তাকে ছেড়ে দিয়েছে র্যাব।
জানাগেছে সকাল ১০টার দিকে সৈয়দ জামাল আহম্মদ দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে দৌলতপুর ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে নিজ দলীয় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রভার সৃষ্টি করে এক তরফা ভোট নেয়ার চেষ্টা করলে সেখানে দায়িত্বরত র্যাব সদস্যরা তাকে আটক করে বসিয়ে রাখে। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার নেতাকর্মী কর্ণফুলী দৌলতপুর এলাকায় সমবেত হয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করতে থকে। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের তদবীর ও চাপে পড়ে বেলা ১২টার দিকে সৈয়দ জামাল আহমম্মদকে ছেড়ে দেয় র্যাব।

এ ব্যাপারে র্যাবের একাধিক কর্মকর্তাকে ফোন করেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে সৈয়দ জামাল আহাম্মদের পুত্র সৈয়দ রুম্মান আহাম্মদ তার পিতাকে দুই ঘন্টা ধরে র্যাব অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকাল ১০টার দিকে নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে উপজেলার দৌলতপুর স্কুল কেন্দ্রে আমার পিতাকে র্যাব সদস্যরা আটক করে অবরুদ্ধ করে রাখে। এই র্যাব সদস্যরা আমাদের গ্রামের বাড়িও ঘেরাও করে রাখে।
এই ঘটনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন থেকে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠনের নেতাকর্মী দৌলতুপর এলাকায় সমবেত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন। হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিক্ষোভে মুখে র্যাব দুপুর ১২টার দিকে সৈয়দ জামাল আহাম্মদকে মুক্ত করে দেয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান জানান, কর্ণফুলী উপজেলার সর্বত্র শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ট পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সৈয়দ জামাল আহাম্মদকে র্যাব সদস্যরা হঠাত করে অবরুদ্ধ করে রাখলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ জানালে র্যাব থাকে মুক্ত করে দেয়।