ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সাতকানিয়া আসনের বিরোধ মেটাতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতারা

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া আসনের এমপি নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মিটাতে গিয়ে এক সঙ্গে গ্রেফতার হলেন ৯ কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতা। তবে যাদের নিয়ে বিরোধ চট্টগ্রাম জামায়াতের সে দুজন নেতাই রক্ষা পেলেন গ্রেফতার থেকে। তারা দেরী করার কারণে গ্রেফতার থেকে বেঁচে গেছেন।

জামায়াতের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, শীর্ষ নেতাদের একসঙ্গে আটকের পেছনে সরকারের অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকলেও এই পরিকল্পনা সফল হয়েছে ভিন্ন কারণে। সোমবার রাতে ঢাকার উত্তরার একটি বাসায় আগামী নির্বাচনে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে দলীয় মনোনয়ন কে পাবেন, এ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নেতারা ওই বাসায় একসঙ্গে হলেও বেঁচে গেছেন দুই নেতা। যাদের কেন্দ্র করে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

সূত্র জানায়, সাতকানিয়া আসন থেকে এমপি হয়েছেন শাহজাহান চৌধুরী ও নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম দু’জনই। কিন্তু আগামী নির্বাচনে কে প্রার্থী হবেন, এ নিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও মহানগর নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। এই মতবিরোধ মেটাতেই দলের আমির মকবুল আহমাদ ও সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান ও মিয়া গোলাম পরওয়ার চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতাদের ডেকেছিলেন। এই ডাকে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রামের তিন নেতা বৈঠকস্থলে পৌঁছলেও শাহজাহান চৌধুরী ও শামসুল ইসলাম দেরি করে ফেলেন। এরই মধ্যে গোয়েন্দারা তাদের অবস্থান চিহ্নিত করেন।

সরকারের প্রভাবশালী দু’টি গোয়েন্দাসংস্থার নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিগত এক মাসের বেশি সময় ধরেই জামায়াত নেতাদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু হয়। কিন্তু একইসঙ্গে এতজন কেন্দ্রীয় নেতাদের পেয়ে যাবেন, এটি তারা ভাবেননি।

গোয়েন্দা সূত্রটি জানায়, চট্টগ্রাম থেকেই গোয়েন্দাসূত্র জানায়, শহরের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা দ্বন্দ্ব মেটাতে ঢাকায় আসছেন। এরই মধ্যে আটক করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সংস্থাগুলো। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারে সরকারের তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে কাজ করে।

সূত্রগুলো জানায়, আটককৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময় মামলা করা হয়েছে। খুব দ্রুতই তাদের সে সব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে। এরই মধ্যে আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নতুন করেও মামলা হতে পারে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যে তার জেলা ফেনীতে গিয়েছেন দুই দফা।

আটকের বিষয়ে সোমবার রাতে তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘আজ সন্ধ্যায় দলের আমিরের নেতৃত্বে ঘরোয়া বৈঠকের সময় পুলিশ অন্যায়ভাবে দলের আমিরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের আটক করে।’

এ বিষয়ে দায়িত্বশীল কোনও নেতাই নাম প্রকাশে রাজি হননি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print