
আলমগীর মানিক, রাঙামাটিঃ
চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয় বোর্ডের কর্মকর্তা এবং বেসরকারী টেলিভিশন দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি সৈকত রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। প্রতারণার শিকার রাঙামাটি শহরের চম্পক নগরের বাসিন্দা রিপন চাকমা ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাঙামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চেক প্রতরনা মামলা দায়ের করেছেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট রাজীব চাকমা মুঠোফোনে জানান মামলাটি ১৭ অক্টোবর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ঝুমু সরকার এর আদালতে রুজু করা হলে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামীর প্রতি সমন জারি করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায় বাদি রিপন চাকমা বিবাদী সৈকত রঞ্জন চৌধুরীর কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছেন। পাওনা টাকা ফেরত দিতে বার বার তাগাদা দিলে সৈকত রঞ্জন চৌধুরী রিপন চাকমাকে রূপালি ব্যাংক লিঃ তবলছড়ি, রাঙামাটি শাখার তার ব্যাংক হিসাব নং-৪৭৯৬ এর চেক নং-এসবিএলও-৪৭৪৯৮৫৮ মূলে ৩,০০০০/- তিন লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। কিন্তু ঐ দিনই রূপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অপর্যাপ্ত তহবীলের কারণে চেকটি ডিজঅনার ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগি রিপন চাকমা সৈকত রঞ্জন চৌধুরীকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু সৈকত রঞ্জন চৌধুরী লীগ্যাল নোটিশ পাওয়ার পরও বাদির সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করেননি।
মামলার বাদি রিপন চাকমা অভিযোগ করেন, দুই বছর আগে রাঙামাটি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে একটি পদে চাকুরী নিয়ে দেয়ার আশ্বাসে সৈকত রঞ্জন চৌধুরী তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। প্রথম পর্যায়ে রিপন তাকে তিন লক্ষ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর চাকুরী না হলে সৈকত রঞ্জন চৌধুরী টাকা ফেরত না দিয়ে তাকে জেলা পরিষদের অধীনে চাকুরী নিয়ে দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দেন। দীর্ঘ দুই বছরেও চাকুরী না পেয়ে রিপন চাকাম সৈকত রঞ্জনকে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দিলে সৈকত রঞ্জন তার সাথে নানা অজুহাতে সময় ক্ষেপন করেন।
প্রসঙ্গত, সৈকত রঞ্জন চৌধুরী রাঙামাটি জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, তিনি রাঙামাটি গণ জাগরণ মঞ্চের একজন সংগঠক। উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে অন্তত আটবার তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।