শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজারঃ
কক্সবাজারের টেকনাফে সাংবাদিকের মালিকানাধীন জমিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও মনিটরিং সেলের ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি ভাঙচুরের মিথ্যা মামলা দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক তাহের নঈমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে েসমাধানের কথা বলে থানায় ডেকে নিয়ে আটকের পর আজ ৫ নভেম্বর দুপুরে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর বাদী হয়ে (দায়েরকৃত মামলা নং-(টেক-৮/০৪-১১-১৭ইং) মামলার পর পুলিশ সাংবাদিক আলহাজ্ব মুহাম্মদ তাহের নঈমকে আদালতে পাঠান।
সাংবাদিক আলহাজ্ব মুহাম্মদ তাহের নঈম টেকনাফ উপজেলা ওলামা দলের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
সাংবাদিক তাহের নঈম ছাড়াও এ মামলায় আরো ৩০/৪০ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
অভিযোগ রয়েছে এই মামলার বাদী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর ইতোপূর্বেও কক্সবাজারের ৮ জন সিনিয়র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সবর্ত্র ধিক্কিও হয়েছিল।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ মাইন উদ্দিন খান উক্ত মামলায় আটক সাংবাদিক মুহাম্মদ তাহের নঈমকে আদালতে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর দুপুরে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ফাঁড়ির আইসি এসআই মঞ্জুরুল হক ঊনছিপ্রাং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় মরহুম মৌলভী আব্দুস সালামের ছেলে, টেকনাফ উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি, ঊনছিপ্রাং মুহিচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক, টেকনাফ নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক ও সাংবাদিক আলহাজ্ব মুহাম্মদ তাহের নঈমকে আটক করে।
অপরদিকে আটক সাংবাদিক মুহাম্মদ তাহের নঈম জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমানের সুপারিশ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল বশরের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ মাস আগে রোহিঙ্গাদের রিলিফ মনিটরিং সেল করার জন্য (প্রতি কক্ষ মাসে ২ হাজার টাকায়) ৩টি অফিস কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়। ইতিপূর্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাত্র ২হাজার টাকা ভাড়াও পরিশোধ করেছেন।
তিনি জানান, সম্প্রতি উক্ত অফিসে একটি মাদকসেবী ও ফল ব্যবসায়ী চক্র অবস্থান নিয়ে দিবা-রাত্রি মাদক সেবন ও জুয়ার আসর বসিয়ে পরিবেশ ভারী করে তোলায় আমি নিরুপায় হয়ে অফিস ভাড়া দেবনা বলে রাগ করে ফ্যান ও কয়েকটি চেয়ার বাড়ি নিয়ে যায়। আমার মত একজন দায়িত্বশীল ও শিক্ষিত ব্যক্তি হয়ে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি কেন সাধারণ মানুষের ছবিও অবমাননা করার কোন প্রশ্নই আসে না। তারা নিজেরাই আমাকে ভাড়া না দিয়ে এবং ফাঁসানের জন্য হয়রানিমুলক মিথ্যা এই ঘটনার আশ্রয় নিয়েছে। তাছাড়া আত্বীয়-স্বজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি বিরোধ, গ্রাম্য রাজনীতি এবং আধিপত্য বিস্তারের কারণে তখন থেকেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আসছি।
এদিকে টেকনাফের সাংবাদিকেরা উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঊনছিপ্রাংয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও মনিটরিং সেলে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ অভিযোগে আটক সাংবাদিক মুহাম্মদ তাহের নঈম এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত নই বলে দাবী করেন।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সাংবাদিক মুহাম্মদ তাহের নঈমের মুক্তি দাবী করেছেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অবমাননাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের পূণ:তদন্ত দাবী করেছেন।
