
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা বাঙালি সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারণের সবচেয়ে বড় অবলম্বন। বিজয় মেলা প্রতিকূলতা ও কঠিনেরে জয় করার অদম্য শক্তিতে বলীয়ান হয়ে প্রতি বছর বাঙালিকে শাণিত করে। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা এবার ২৯ বছরে পদার্পণ করল। যখন জয় বাংলা বলা যেত না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল ঠিক তখনই প্রতিরোধের উদ্দীপ্ত চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার পথচলা শুরু হয় বিপ্লব তীর্থ এই চট্টগ্রাম থেকে। আজ এর প্রসার টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত।
তিনি আজ শনিবার বিকেলে এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামস্থ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের কার্যালয়ে মেলার কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে, আকাশ সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাব, তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার, সাইবার ক্রাইম ও ইয়াবা আগ্রাসন তরুণ সমাজকে বিপথগামী করছে। তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে শিকড়চূত করা হচ্ছে। এরা দেশপ্রেম বিবর্জিত হয়ে পড়ছে এবং আত্মকেন্দ্রীক হয়ে যাচ্ছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতার প্রকট হচ্ছে। বিজয় মেলা এই তরুণ প্রজন্মকে পরিশুদ্ধ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানোর জন্য তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করা হবে। মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদেরকে উজ্জীবিত করতে হবে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদেরকে ব্যাপকভাবে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। তারা যেন স্বদেশে ফিরে যেতে পারে এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে এই লক্ষে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ তাদের পাশে থাকবে। তিনি ঘোষণা করেন, বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা গড়তে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন, ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে এবং নতুন প্রজন্মকে আত্মশুদ্ধিতে উজ্জীবিত করা হবে। সর্বোপরি তাদেরকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি মনোষ্ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণ করার মধ্যে দিয়ে এবারের বিজয় মেলা আয়োজনে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব পান্টু লাল সাহার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, ফরিদ মাহমুদ, তপন বড়–য়া, হাবিবুর রহমান তারেক, এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজন। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র, অধ্যাপক শফিউল বশর, মহিউদ্দিন রাশেদ, মোহাম্মদ ইউসুফ, নির্মল চন্দ্র নাথ, মোয়াজ্জেম হোসেন, শহীদুল আলম, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, অধ্যাপক মাহাবুবুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাজেদুল আলম মিল্টন, এস.এম. সাঈদ সুমন, শেখ নাছির আহমেদ, দেবাশীষ নাথ দেবু, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, আজিজুর রহমান আজিজ, মোঃ ইলিয়াছ উদ্দিন, শিবু প্রসাদ চৌধুরী, মোছলেম উদ্দিন শিবলী প্রমুখ।