
চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন রিয়াজ উদ্দিন বাজার নুপুর মার্কেটে অভিযান চালিয়ে বন্য প্রাণী ও পোষা পাখি বিক্রির বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়ে দেড় হাজার বিভিন্ন জাতের পাখি ও বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত র্যাব-৭ এক একটি দল এ অভিযান চালায়।
জব্দ করা পাখি ও বন্য প্রাণীর মধ্যে রয়েছে, ১,৪৫০ টি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি (মদনা-১,০২৬ টি, ঘুঘু-৯০ টি, টিয়া-১৫৫ টি, মুনিয়া-১৫০ টি, তোতা-১৫ টি, কাঠ ঠোকড়া-১টি, বাদুর- ১ টি এবং চড়ুই-১২ টি) এবং ৭ টি বিভিন্ন প্রকার প্রাণী (বানর-২টি, বেজী-৩টি, বন মোরগ-২টি) উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সময় ভ্রাম্যমান আদালত বিলুপ্তপ্রায় ও বিপন্ন প্রজাতির বিভিন্ন ধরণের পাখি ও প্রাণী বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও অবৈধভাবে বিক্রি করার দায়ে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে আড়াইলাখ টাকা জনিমানা করা হয়।
অভিযানের পর উদ্ধার করা এসব আজ শনিবার সকালে পাখি ও বন্যপ্রানী চট্টগ্রামের ক্যান্টমেন্ট পাহাড়ী জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে পাঠক ডট নিউজকে জানান র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মিমতানুর রহমান।
আজ শুক্রবার রাতে র্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের মহানগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজারে নূপুর মাকের্টের বিভিন্ন দোকানে চট্টগ্রাম বিভাগের প্রত্যন্ত ও দুর্গম পাহাড়ী এলাকা হতে বিলুপ্তপ্রায় ও বিপন্ন প্রজাতির বিভিন্ন ধরণের পাখি ও প্রাণী শিকার করে সারাদেশে উচ্চমূল্যে বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছে।
উক্ত তথ্যের ভিক্তিতে ৩০ নভেম্বর দুপুর ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত স্কোয়াড্রন লীডার শাফায়াত জামিল ফাহিম এবং লেঃ কমান্ডার আশেকুর রহমান নেতৃত্বে র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান এবং আবু নাঈম মোঃ শহিদুল আলম, ফরেস্টার, বণ্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ পাখি ও বন্যপ্রানী জব্দ করা হয়।

বিলুপ্তপ্রায় ও বিপন্ন প্রজাতির বিভিন্ন ধরণের পাখি ও প্রাণী বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করার দায়ে মারিয়া স্টোর এর মালিক মোঃ জাফর আহমেদকে ৫০ হাজার টাকা, ইত্যাদি স্টোর এর ম্যানেজার মোঃ ইউসুফকে ৫০ হাজার, আলী স্টোর এর মালিক মোহাম্মদ আলী কে ৫০ হাজার, মোঃ ইমারন আলী (২৮) এবং ইরফান আলী (২১)কে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকাসহ মোট আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।