ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

জঙ্গি নয়, প্রেমের কারণে নিখোঁজ হন ইরা ও সিরাজ

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

munsiganj
প্রেমের কারণে পালিয়ে বিয়ে করে নিখোঁজ হন ইরা ও সিরাজ।

জঙ্গি নয়, প্রেম করে বিয়ে করে পালিয়ে যান ইরা সিরাজ। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মাশুরগাঁও গ্রামের নুরুন নাহার ইরা (১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী প্রায় এক মাস ধরেই নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার কারণে তার পরিবারসহ এলাকার অনেকেই ধারণা করছিলেন ইরা হয়তো জঙ্গি সংগঠনের জড়িয়ে পড়েছে। কারণ, নিখোঁজ হওয়ার পর একদিন মোবাইল ফোনে কথা হলে ইরা তার পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিল, ‘সে পবিত্র জায়গায় আছে। খোঁজাখুঁজি করে লাভ নেই।’

নিখোঁজ হওয়ার প্রায় এক মাস পর মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ‘স্বেচ্ছায়’ শ্রীনগর থানায় এসে হাজির হয় এবং দাবি করে, প্রেমের কারণেই সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল।

গত ১৯ জুন নিজ বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর বাড়িতে ফিরে আসেনি ইরা। গত ১০ জুলাই তার মা শামীমা আক্তার শ্রীনগর থানায় নিখোঁজের জিডি দায়ের করেন।

137209_124
থানায় উপস্থিত হয়ে কলেজ ছাত্রী ইরা জানান, কোন ধরণের জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত নয়। পালিয়ে বিয়ে করার কারণে নিখোঁজ হন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ইরার সন্ধানে পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া একটি ছবির সূত্র ধরে মাঠে নামে পুলিশ। ছবিতে দাড়িওয়ালা এক যুবকের সাথে ইরা ও তার আরও দুই বান্ধবী রয়েছে। ওই যুবকের সন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায় তার নাম সিরাজুল ইসলাম নয়ন (৩৫)। সে পাবনার বর্জনাথপুর গ্রামের আঃ হামিদের ছেলে। সিরাজুল ইসলাম ঢাকার গুলশান-২ এর ৭২ নম্বর সড়কের ১৫ নং বাড়িতে অবস্থিত আহামেদ গ্রুপের কর্মকর্তা। ২০১৫ সালে শমসপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন তিনি। ওই বছর এএসসি পরীক্ষার পূর্বে ইরাসহ আরও কয়েক ছাত্রীর প্রাইভেট শিক্ষক হিসাবে তিন মাস নিযুক্ত ছিলেন। ওই সময়ই ইরা ও সিরাজুল ইসলামের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ সিরাজুল ইসলামকে শ্রীনগর থানায় হাজির করার জন্য আহমেদ গ্রুপের কর্নধারকে অনুরোধ করলে সিরাজুল ইসলামকে ওই প্রতিষ্ঠানের একটি গাড়িতে করে তার কয়েকজন সহকর্মীসহ গুলশান থেকে শ্রীনগর পাঠানো হয়। সিরাজুল ইসলাম থানায় পৌঁছানোর আধ ঘন্টা পূর্বে ইরা স্বেচ্ছায় থানায় এসে হাজির হয় এবং তার জন্য অন্য কাউকে হয়রানি না করতে বলে।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাহিদুর রহমান জানান, তাদের আলাদাভাবে বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে তারা সিলেটে মাজারে ছিল বলে জানায়। তাদের কথার্বাতায় বিভ্রান্তিকর হওয়ায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে, কাউকে না জানিয়ে ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তারা বিয়ে করেন। তারা ঢাকার গুলশান থানাধীন বাড্ডা এলাকায় বসবাস করছিল।

তাদের এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে রাতে গুলশান থানার পুলিশকে জানানো হয়। গুলশান পুলিশ বসবাসের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

তারা জানায়, প্রেম করে করে বিয়ে করার কারণে বাড়ির লোকজন তা মেনে নেবে না-এ কারণে তারা পালিয়ে বিয়ে করেছে।

মঙ্গলবারে মধ্যরাতে সিরাজুল ইসলাম নয়নকে তার অফিসের লোকের কাছে ও ইরাকে তার পরিবারের কাছে বুধবার সকালে তুলে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print