
চট্টগ্রাম-৫ আসন (হাটহাজারী ও সিটির ১ ও ২ ওয়ার্ড) আসন একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হওয়া সত্ত্বেও সেখানে আওয়ামীলীগের দূর্গ গড়ে উঠেনি। কারন দলীয় নেতাকর্মীরা অর্ন্তদ্বন্দ্ব কোন্দলে সেখানে তাদের শক্তিশালী অবস্থান বা বলয় গড়ে তুলতে পারেনি বলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিমত। তাই পরপর দুই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে আসনটি হাতছাড়া হয়েছিলো মহাজোটের কাছে। অন্যদিকে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতায় পড়তে পারে বিএনপি। কারন রয়েছে একাধিক প্রার্থী। তাদের সবাই মনোনোয়ন প্রত্যাশী।
স্থানীয়রা জানায়, এক সময়ে বিএনপির দুর্গ বলে পরিচিত ছিল চট্টগ্রামের এ আসনটি। কিন্তু গত ২০০৮ নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হওয়ার পর হাতছাড়া হয়ে যায় তাদের সেই ঘাঁটি। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে বড় ধরনের কোন সংকট তৈরি না হলে বিএনপি পূনরায় আসনটি ফিরে পাবে-এমন ধারণা বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে হেফাজতকে হাতে রাখতে চায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দিন। আর বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে নতুন কৌশলে এগুচ্ছে জেলা বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার শাকিলা ফারজানা।
একই সাথে বিএনপি থেকে এ আসনে মনোনোয়ন প্রত্যাশীর নাম রয়েছে চাকসু জিএস এসএম ফজলুল হল, মীর নাছিরের ছেলে ব্যারিষ্টার মীর হেলাল।
তবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে আবার মাঠে নামতে চায় এ আসনে। সেটিও কতটুকু ফলপ্রস্যু হবে তা নিয়ে ও দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ। কারন এ আসনে আওয়ামীলীগের শত্রু ও বিষফোঁড়া আওয়ামীলীগ হওয়ায় বরারের মতো এবারও তাদের হাত থেকে এ আসন ফসকে যাবে কিনা এ সংশয়ও কাজ করছে অনেকের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম হাটহাজারী ৫ আসন চট্টগ্রাম সংসদীয় আসন হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি।এটি চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ২৮২নং আসন। এ আসনটি চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১ ও ২ নং ওয়ার্ড এবং হাটহাজারী উপজেলা নিয়ে গঠিত।
এবার এ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনোয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এম, এ সালাম, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সিডিএ বোর্ড মেম্বার ইউনুচ গণি চৌধুরী, বিশিস্ট আইনজীবি নগর আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের জেনারেল সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত।
আগামী নির্বাচনে এম,এ সালাম মনোনোয়নের ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যাশী, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। দৃঢতার সাথে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে আওয়ামীলীগের এই নেতা বলেন, হাটহাজারী ৫ আসনের বর্তমান এমপি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এলাকার উন্নয়নে তেমন কোন প্রভাব রাখেননি। অনান্য উপজেলার তুলানায় হাটহাজারী অনেক পিছিয়ে। তিনি যেহেতু জেলা পরিষদ ও উত্তর জেলা আওয়ামীলীগে তার অবস্থান শক্তভাবে ধরে রাখতে পেরেছেন, তাই তিনি আশাবাদী তার মনোনয়ন নিয়ে। তিনি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এলাকার উন্নয়নে যা করতে পারেননি তাই করবেন। তবে হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামীলীগের দ্বন্দ্ব ও কোন্দল সম্পর্র্কে তিনি আরো বলেন, তিনি যদি এমপি বা মন্ত্রী হন এসব সমস্যা আর এলাকায় থাকবে না। তার নির্দেশে দলের সাংগঠনিক কাজ চলবে।
কিন্তু স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ তার প্রতি এটাই যে, হাটহাজারী উপজেলা আ্ওয়ামীলীগের দ্বন্দ্ব ও কোন্দল তিনি জিইয়ে রেখেছেন। আওয়ামীলীগের শত্রু আওয়ামীলীগ তার ইন্ধনেরই তেরী হয়েছে।
একই আসন থেকে মনোনোয়ন প্রত্যাশী ইউনুচ গণি চৌধুরী বলেন, ২০১৪ সালে তিনি এ আসন থেকে মনোনোয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর ও শেখ হাসিনার নির্দেশে আসনটি মহাজোটের কাছে ছেড়ে দিতে হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কথার বাইরে যাননি। তাই তার বিশ^াস প্রধানমন্ত্রী এবার তার এ আত্মত্যাগের মূল্যায়ন করবেন। গত নির্বাচনের মনোনোয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের মাত্র ১ মিনিট আগে তিনি তার মনোনোয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন বলে জানান ইউনুচ গণি চৌধুরী।
হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সমস্যা এম, এ সালামের কারনেই সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ইউনুচ গণি চৌধুরী। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হয়েও তার সঠিক ও নিরুপেক্ষ তদারকির আওয়ামীলীগে অন্তদ্বর্ন্দ্ব ও কোন্দল তৈরী হয়েছে বলে তার অভিযোগ।
তার কথার সূত্র ধরে জানা যায়, এম,এ সালামের অনুসারীদের মধ্যে হাটহাজারী উপেজেলা আওয়ামীলীগে দুই থেকে তিনটি গ্রুপ তৈরী হয়েছে। একটা গ্রুপে মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু ও অন্য গ্রুপেূ আছেন সোহরাব হোসেন নোমান। এই দুই গ্রুপের লোকজন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এম,এ সালামের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সামনে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলেন। গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়।
ইউনুচ গণি চৌধুরী আরো বলেন, এ আসন থেকে এম, এ সালামের নমিনেশন পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারন তিনি সাধারন সম্পাদক হলেও উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত না।
তবে তিনি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে এলাকার সব অনিয়ম দূর করবেন বলে জানান। দলকে এলাকায় সুশৃঙ্খল অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন। প্রথম কাজ হবে দলের কোন্দল নিরসন করা।
এদিকে এ আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনোয়ন প্রত্যাশী জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের জেনারেল সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত। তিনি মনোনোয়ন প্রত্যাশী কেন এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, দীর্ঘদিন রাজনীতি করছি। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মনোনোয়ন তো চাইতেই পারি। তবে যদি মনোনোয়ন পান ও নির্বাচিত হন তাহলে নিজের যোগ্যতা দিয়েই এলাকায় কাজ করবেন। কোন কোন্দলের মধ্যে নিজেকে জড়াবেন না বলে জানান এই নেত্রী।
অন্যদিকে হাটহাজারী বিএনপিও রয়েছে বেকায়দায়। আর তার জের ধরেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতায় পড়তে পারে বিএনপি। কারন রয়েছে একাধিক প্রার্থী। তাদের সবাই মনোনোয়ন প্রত্য্শাী। এক সময়ে বিএনপির দুর্গ বলে পরিচিত ছিল চট্টগ্রামের এ আসনটি। কিন্তু গত ২০০৮ নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হওয়ার পর হাতছাড়া হয়ে যায় তাদের সেই ঘাঁটি। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে বড় ধরনের কোন সংকট তৈরি না হলে বিএনপি পুনরায় আসনটি ফিরে পাবে- এমন ধারণা বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে হেফাজতকে হাতে রাখতে চায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির। আর বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে নতুন কৌশলে এগুচ্ছে জেলা বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার শাকিলা ফারজানা। একই সাথে বিএনপি থেকে এ আসনে মনোনোয়ন প্রত্যাশীর নাম রয়েছে চাকসু জিএস এসএম ফজলুল হল, মীর নাছিরের ছেলে ব্যারিষ্টার মীর হেলাল।
এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে গণ সংযোগের মাধ্যমে মূলত নির্বাচনি প্রচারে মেতেছেন মীর হেলাল। এলাকার সাধারণ লোকজন ও দলের বিশাল একটি কর্মী সমর্থক তার সাথে রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, শাকিলা ফারজানা দেশে ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া করেছেন। পরে লন্ডন থেকে অর্জন করেন ব্যারিস্টার অ্যাট ল’ ডিগ্রি। ‘জঙ্গি অর্থায়নে অভিযুক্ত’ এ আইনজীবী জামিনে কারামুক্তির পর থেকে তার নিজ এলাকায় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ঢাকায় থাকলেও সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন তিনি হাটহাজারীতে অবস্থান করছেন। এলাকায় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের পাশাপাশি দলীয় নানা কর্মসূচির আয়োজন করে তাতে অংশও নিচ্ছেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে। আর হাটহাজারী আসনে চার দফায় সংসদ সদস্য ছিলেন সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম।
জানাগেছে, জঙ্গি অর্থায়নে’র অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকার ধানমন্ডি থেকে শাকিলাসহ গ্রেফতার হন তিন আইনজীবী। শহীদ হামজা ব্রিগেডের সামরিক কমান্ডার ডনের অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। তারপর গত বছরের ৫ জুন জামিন পান এবং ৭ জুন কারাগার থেকে মুক্তি পান শাকিলা। এর আগে আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে হাইকোর্টে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও নিজ এলাকায় বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না ব্যারিস্টার শাকিলা। এবার কারাগার থেকে বের হওয়ার পর এলাকায় পুরোদমে দলীয় কর্মকান্ডে মনোনিবেশ করেছেন তিনি।
শাকিলা ফারজানা নিজের অভিব্যক্তির কথা জানাতে গিয়ে বলেন, দলের জন্য আমার বাবা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের ত্যাগ ও অবদান অপরিসীম। এর আগেও চার দফায় নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি নির্বাচনে গেলে হাটহাজারী আসনে দল থেকে প্রথমে তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। কিন্তু তিনি অসুস্থ। তাই এলাকায় তার অবস্থান ধরে রাখতে আমি কাজ করছি। এ ছাড়া দলের জন্য এলাকায় কাজ করতে আমার প্রতি বিএনপির হাইকমান্ডেরও নির্দেশনা রয়েছে।’
স্থানীয় বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, আগে থেকে এখানে মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন ও তার পুত্র মীর হেলাল এবং বিজিএমইএ নেতা চাকসু জিএস এসএম ফজলুল হক আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন লাভের আশায় কাজ করছেন। বিএনপি পন্থি জোটের পক্ষে কল্যাণ পার্টির নেতা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও হাটহাজারী থেকে সামনের সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে পিতার উত্তরাধিকার নিয়ে ব্যারিস্টার শাকিলার আগমন বিএনপির রাজনীতিকে আরও জটিল ও উত্তেজিত করবে বলে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীর অভিমত।
তবে দলীয় সূত্রে আরো জানা যায়, ব্যারিস্টার শাকিলার রাজনৈতিক আত্মপ্রকাশকে নিরীক্ষা করা হবে। পিতার পথ ধরে যদি তিনি এলাকায় যথেষ্ট সাড়া জাগাতে পারেন তাহলে মনোনয়নের পাল্লা তার দিকে ঝুঁকবে।
বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, এবার পুরনো প্রার্থীর সঙ্গে টেক্কা দিতে ওই আসনে নেমেছেন আরও বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট। এসব সম্ভাব্য প্রার্থীর সঙ্গে চেয়ারপারসনের সরাসরি যোগাযোগ থাকায় নমিনেশন পাওয়ার বিষয়টি তাই প্রকট হয়ে উঠেছে। যা নির্বাচনে দ্বন্দ্বে রুপ নিতে পারে।
এদিকে গত বছর মীর নাছিরের হঠাৎ করে হেফাজত নেতার সাথে সাক্ষাত নিয়ে এলাকায় মুখরোচক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিলো। আলোচনায় এসেছিলো, আগামী সংসদ নির্বাচনে হেফাজতকে হাতে রেখে মীর নাছির নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। কারন হাটহাজারীতে হেফাজতের একটা বড় সমর্থকগোষ্ঠী রয়েছে। তাই হেফাজতের সখ্যতার কারনে সেই ভোটব্যাংককে সে কাজে লাগাতে পারেন।
গত বছরের ৬ মে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের তান্ডবের চতুর্থ বার্ষিকীতে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক এ সংগঠনের আমির শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। ঐদিন হাটহাজারীতে অবস্থিত দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় শফীর কার্যালয়ে যান নাছির।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মীর নাছির এ প্রতিবেদককে জানান, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে ও আমি দল থেকে মনোনোয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে হাটহাজারীর বেকার সমস্যার সমাধান করব। রাস্তাঘারে উন্নয়ন করব। আমার ৪০ বছরের রাজনীতি জীবনে যা করেছি, তার শেষটা করব হাটহাজারীবাসীর জন্য।