
সাতকানিয়া নলুয়া ইউনিয়নের গাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে স্বজনদের কান্না ও আহাজারী চলছে। স্বজনদের চেখের সামনে চলে গেলো ১১টি তাজা প্রাণ। একটু ভালো থাকার জন্য সামনে রমজান উপলক্ষে বিতরণ করা ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে অনাকাঙ্খিত মৃত্যু বরণ করেছে ১১ নারী। তাদের শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা।
এদিকে ইফতার বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান কবির স্টিল দেয়া েইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে এর আগেও প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে।

অপরিকল্পিতভাবে এসব ইফতার জাকাত বিতরণে দেশের বিভিন্ন স্থানে অসখ্য প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে প্রতি বছর। তারপরও প্রশাসন থেকে কোন রকম তদাররি হচ্ছে না। ফলে দিন দিন
জানাগেছে, আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের শিল্পপ্রতিষ্ঠান কবির স্টিল (কেএসআরএম) এর পক্ষে শিল্পপতি মোহাম্মদ শাহজাহানের বাড়ীতে ইফতার সামগ্রী বিতরণের সময় ভীড়ের চাপে পড়ে ঘটনান্থলে ৯ জন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো ২ জন মারা যান। এ সময় আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
সকালে উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসার মাঠে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এমরান ভূঁইয়া।

নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাসলিমা আক্তার জানান, নিহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে নিহতদের অধিকাংশই নারী।
ইস্পাত তৈরির প্রতিষ্ঠান কবির স্টিল রোলিং মিলসের (কেএসআরএম) মালিক মো. শাহজাহান প্রতিবছরের মতো এবারও নিজ এলাকার দুস্থ-গরিবদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেন। আজ সকাল থেকে নলুয়ায় একটি মাদ্রাসা মাঠে এর আয়োজন করা হয়।
যে সংখ্যক লোক জমায়েত হবে বলে আশা করা হচ্ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি লোক জড়ো হয়। এর মধ্য নারীদের সংখ্যাই বেশি। সাতকানিয়া ছাড়া আশপাশের উপজেলা থেকেও অনেক লোক চলে আসে। ধারণার চেয়ে অনেক বেশি লোক জমায়েত হয়ে যায় মাদ্রাসা মাঠে।
আর সেই ভিড়ের মধ্যে মানুষ লাইন না ধরে তাড়াহুড়া করার চেষ্টা করে এবং ইফতার সামগ্রী নেওয়ার চেষ্টা করলে হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন কেআরএমএসের কর্মকর্তা মো. রফিক।
এর আগে ২০০৭ সালেও একই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী দেওয়ার সময় ছয়জন নিহত হয়েছিলেন বলে স্থানীয়রা পাঠক ডট নিউজকে নিশ্চিত করেন।
*কবির স্টিলের ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে বার বার প্রাণহানীর ঘটছে