
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুুরুল আজিম রনির মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কলেজ সমূহের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার বেলা ২টায় নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওমর গণি এম ই এস কলেজ, চট্টগ্রাম কলেজ, হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, সরকারি সিটি কলেজ, আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে সমবেত হয়।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিমের সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা জাবেদুল ইসলাম জিতু ও মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মায়মুন উদ্দিন মামুনের যৌথ সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর তার বক্তব্যে বলেন, যেহেতু ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি’র বিরুদ্ধে মাফিয়া ও জামায়াত শিবির পরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত শিক্ষা ফি আদায়কারীর দায়ের করা মিথ্যা মামলায় তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই রনিকে আইনী প্রক্রিয়ার সাথে সাথে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করে ষড়যন্ত্রের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন শহীদ ছাত্রনেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মা জাহিদা আমিন চৌধুরী। শহীদ জননী জাহিদা আমিন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, “একটি মানুষখেকো মাফিয়া চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দিয়াজ ইরফান যেমন মৃত্যুবরণ করেছেন ঠিক একই চক্র নুরুল আজিম রনিকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে। শুনেছি তাঁকেও মারার জন্য কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে”। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই মাফিয়া চক্রের হাত থেকে নুরুল আজিম রনিকে বাঁচাতে তাঁর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ সময় সংহতি জানিয়ে বক্তারা বলেছেন- সৃজনশীল ও প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতিতে নুরুল আজিম রনি একজন আপোষহীন ছাত্রনেতা। শিক্ষা দুর্নীতি ও প্রতারকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় রনিকে মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের এক মন্ত্রী ও মাফিয়া ব্যক্তিদের আশ্রয় পেয়ে শিক্ষা ব্যবসায়ী ও জামায়াত শিবির চক্র ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ধ্বংস করতে চাই। তারা নুরুল আজিম রনির মত সৃজনশীল ছাত্র নেতাকে মুক্তি দেওয়ার দাবী জানান।
উক্ত মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মনসুর, যুবলীগ নেতা গাজী জাফর উল্লাহ, আসহাব রসূল জাহেদ, প্রশান্ত চৌধুরী যীশু, খোরশেদ আহমেদ জুয়েল, শিবু প্রসাদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টা আকতার খান, বিধান বড়ুয়া, মো: সাজ্জাদ হোসেন, মনোয়ার আলম নোভেল, হাবিবুর রহমান তারেক, আলী রেজা পিন্টু, আজিজ উদ্দিন চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এন কে আলম বাসেদ, ছাত্রলীগ নেতা একরামুল হক রাসেল, গোলাম সামদানি জনি, আশরাফ উদ্দিন টিটু,মিজানুর রহমান মিজান, আবু হানিফ রিয়াদ, সালাউদ্দিন বাবু, আমিনুল করিম, শাহ আলম মুমিন, আরিফ হোসেন, ইউসুফ তানভীর, মোজাম্মেল হক, শাহজাদা চৌধুরী, নোমান চৌধুরী রাকিন, মনিরুল ইসলাম, শরফুল ইসলাম মাহি, হাসমত খান আতিফ, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা কাজী নাঈম, আনোয়ার পলাশ, হারুন অর রশিদ হৃদয়, মাঈন উদ্দিন সোহেল।