
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) রূটে চলাচলকারী শাটল ট্রেন, বাস সার্ভিস ও সকল প্রকার অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থায় নৈরাজ্য ও ভাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধের দাবীতে ‘চবির পরিবহন ব্যবস্থায় নৈরাজ্য বন্ধ কর, শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাও’ এ প্রতিপাদ্য ও পাঁচ দফা দাবী সামনে রেখে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।
আজ ২৬ জুলাই (বৃহঃস্পতিবার) ১ টার সময় চবি স্টেশন চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ বাইজিদ ইমন’র সভাপতিত্বে ও চবি সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক ইমরান হোসাইন’র সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে চবি শাখা ছাত্রলীগ একাত্বতা পোষণ করে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে চবি ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনসুর আলম ও সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আবু তোরাব পরশ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মনসুর আলম, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আবু তোরাব পরশ, চবি সাংবাদিক সমিতির প্রচার সম্পাদক জোবায়ের চৌধুরী, চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল্লাহ এইচ রাকীব, চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য জাহিদ হাসান সবুজ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, এমনিতেই শাটলের বগি সংখ্যা কম, তারওপর উটকো ঝামেলা মালবাহী বগি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যেন আমাদের পণ্য হিসেবে গণ্য করছে। তারা যাত্রীবাহী বগির বদলে মালবাহী বগি দিয়ে দিচ্ছে। তাছাড়া চবির রেললাইন সংস্কারের দাবি জানান তারা।
বক্তারা আরও বলেন, ৩ নং রুটে চলাচলকারী সকল বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকর করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিআরটিসি বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। তারা বলেন, সাংবাদিকদের দাবি দাওয়া শুধুমাত্র সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর দাবি। ছাত্রসংগঠনগুলোকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান করেন তারা।
পাঁচ দফা দাবী গুলো হলঃ
১. বিশ্ববিদ্যালয় রূটের রেললাইন সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং শাটল ট্রেনের বগি বৃদ্ধি করতে হবে।
২. শাটল ট্রেন থেকে মালবাহী বগি প্রত্যাহার করে যাত্রীবাহী বগি সংযোজন করতে হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয় রূটে চলাচলকারী বাস সার্ভিসের চলমান নৈরাজ্য বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে বাস সার্ভিস চালুর ব্যবস্থা করতে হবে। বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে চাহিদা অনুযায়ী বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া আদায়ের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক নিয়মিত তদারকি করতে হবে। বাড়তি ভাড়া আদায়কারীদের বিশ্ববিদ্যালয় চলাচলের অনুমোদন বাতিল করতে হবে।