
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আওয়ামীলীগের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট এবং অযোগ্য। গত সোমবার অনুষ্ঠিত তিন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ছিল তামাশা ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রমাণিত হলো এই অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় কোন নির্বাচনেই জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব নয়। শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না। গাজীপুর ও খুলনার মতো এ তিন সিটি নির্বাচনে ভোট চুরি বা কারচুপি নয়, ভোট ডাকাতির মহৌৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থাকে আওয়ামীলীগ তামাশায় পরিণত করেছে। তিনি
তিনি আজ ২ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে ৩ সিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শাহাদাত আরো বলেন, জনগণের প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছে এ অবৈধ সরকারের প্রশাসন এবং অযোগ্য নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচন কমিশন পুলিশের মতোই আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। শিডিউল ঘোষণার পর থেকেই পুলিশ মিথ্যা, মামলা, গ্রেফতার, হয়রাণী, হুমকী ও ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দূরে রেখে আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকে আবারো ধ্বংস করে দিয়েছে।
সভায় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছেন অথচ সরকার তাকে অন্যায়ভাবে একটি নির্জন কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তিনি এতটাই অসুস্থ যে তার আত্মীয়রা দেখে করতে গেলে তিনি নিচে নেমে আসতে পারেন না। অথচ সরকারের মন্ত্রীরা বলেন, বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছি। রাজনীতি তো করছে সরকার, কারণ তারা খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। সেজন্য তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছে। আজকে বেগম জিয়া আদালত থেকে জামিন পেলেও তার মুক্তি মিলছে না। তাকে মিথ্যা মামলায় আটক দেখানো হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, অবৈধ সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অযোগ্যতা ও ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ এখন অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সরকারের ব্যর্থতার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এসেছে। তিনি বলেন, সারাদেশে বিচ্চু বাহিনী রাস্তায় নামাতে সরকার এখন অসহায়। জনগণ মাঠে নামলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে। সরকারের অন্যায়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা “উই ওয়ান্ট জাস্টিস” “উই ওয়ান্ট জাস্টিস” স্লোগান দিচ্ছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি এম এ আজিজ, মো: মিয়া ভোলা, হাজী মো: আলী, হারুন জামান, সৈয়দ আহাম্মদ,সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইস্কান্দর মির্জা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো: সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম , প্রচার সম্পাদক সিহাব উদ্দিন মোবিন, সহ সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী, সম্পাদকবৃন্দ হামিদ হোসাইন, হাজী নুরুল আক্তার, ডা: এস এম সারওয়ার আলম, শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, জিয়াউদ্দিন খালেদ চৌধুরী, অধ্যাপক জন্টু বড়ুয়া, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহামন চৌধুরী, সাইফুর রহমান বাবুল, মো: সেকান্দর, নগর বিএনপির সহ সম্পাদকবৃন্দ আবদুল হালিম স্বপন, মো: ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, আজাদ বাঙ্গালী, আবু মুছা, আবদুল মতিন, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, হাসন লিটন, সফিক আহাম্মদ, আবুল খায়ের মেম্বার, আলী আজম, সালাউদ্দিন লাতু, মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফাতেমা বাদশা, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, নগর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, আলহাজ্ব জাকির হোসেন, সাহাব উদ্দিন, নূর হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, নগর বিএনপির সদস্যবৃন্দ আবুল মনসুর রোমেল, আলী ইউসুফ, ইউসুফ সিকদার, মো: তসলিম হোসেন, সাহেদা বেগম, আতিয়া আক্তার ঊষা, মো: বুলবুল, মনজুর কাদের মিন্টু, আইয়ুব খান, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া। ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, আলাউদ্দিন আলী নূর, জানে আলম জিকু, জামাল উদ্দিন জসিম, এফ এ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, সাদেকুর রহমান রিপন, সাব্বির আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, হাজী মোঃ এমরান, মঞ্জুর কাদের, নুর হোসেন নুরু, কামরুল ইসলাম, জাহেদ উল্লাহ রাশেদ, ছৈয়দ আবুল বশর, মঞ্জুর মিঞা, আনোয়ার হোসেন আনু প্রমূখ।