
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহি নাজিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজকে জাতীয়করণের দাবিতে চট্টগাম-খাগড়াছড়ি সড়কের নতুন রাস্তার মাথা এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সড়কের ওপর অবস্থান নেয় এলাকাবাসী ও কলেজের বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের দু’পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। অনতিবিলম্বে নাজিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজকে সরকারীকরণ করা না হলে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির হুমদি দেয় শিক্ষার্থীরা।
নাজিরহাট কলেজকে জাতীয়করণনের দাবিতে ওই কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকে। এরপর কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সর্বদলীয় ছাত্র ছাত্রী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এশটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নাজিরহাটের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন রাস্তার মাথায় এসে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে মিছিল-সমাবেশ করতে থাকে। এতে রাস্তার দু’ধারে যানজটের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীরা ‘এক দফা এক দাবি নাজিরহাট কলেজ সরকারী চাই’ ‘৬৭ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নাজিরহাট কলেজ সরকারীকরণ চাই, ‘আরনয় অবহেলা, এবার জাতীয়করণের পালা,’ শ্লোগানে মুখরিত করে তুলে সমাবেশস্থল। সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা সেক্টও কমান্ডার ফোরামের সভাপতি ড.মাহমুদ হাছান, রুহুল আমিন চৌধুরী,বোরহান উদ্দিন, মো.ইউসুফ, আলী আকবর জুনু, বিপ্লব পার্থ,সাবেক ছাত্র হোসাইনুল করিম সুরুজ, ফাহিম উদ্দিন ডিউক, আবু বক্কর, ইকবাল হোসেন সিকু,মোজাম্মেল হক, রেজাউল করিম হেলাল মাসুদ মজুমদার, আরাফাত সিদ্দিকী, রহমত উল্লাহ চৌধুরী,তানিম মাহমুদ,তৈয়ব খান,ইমতিয়াখ উদ্দিন মুমিন,নেজাম উদ্দিন,সাইদুল ইসলাম রাকিব,মো.মামুন, সানজিদা হোসাইন, তাসলিমা আক্তার, জেসমিন আক্তার, প্রমুখ।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, অনেক পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী কলেজ হওয়া সত্বেও নাজিরহাট কলেজকে সরকারিকরণ করা হয়নি। ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয়দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ সকল আন্দোলনের এক কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণ ছিল। নাজিরহাট কলেজের সময় সাময়িক চট্টগ্রাম কলেজ ও বোয়ালখালীর স্যার আশুতোষ কলেজ অনেক আগেই সরকারী কলেজ হয়েছে। কিন্তু নাজিরহাট কলেজ এখনো সরকারীকরণ হয়নি। এই কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যাও অনেক বেশি।পাশাপাশি ফলাফলের হারও অনেক ভালো। আমরা তাই যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।