ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামে হিমু হত্যার রায়ে পিতা পুত্রসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

himu1470904295
কুকুর লেলিয়ে হিমুকে হত্যা করা হয়।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে চাঞ্চল্যকর হিমাদ্রি মজুমদার হিমু হত্যা মামলার রায়ে আদালত ৫ আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

রবিবার চট্টগ্রাম বিকাল ৪টায় চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এর আদালত হত্যাকাণ্ডের প্রায় সাড়ে ৪ বছরের পর এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামীরা হলেন- ব্যবসায়ি শাহ সেলিম টিপু, তার ছেলে জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ, রিয়াদের বন্ধু জাহিদুর রহমান শাওন, শাহাদাত হোসেন সাজু ও মাহবুব আলী ড্যানি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অনুপম চক্রবর্ত্তী এ খবর নিশ্চিত করেছেন। রায়ে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আদালতের এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আসা করি উচ্চ আদালত রায় বহাল রেখে স্কুল ছাত্র হিমু হত্যার উপযুক্ত বিচার পাবে তার পরিবার।

special02
পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ‘ফরহাদ ম্যানশন’। এ বাড়ির ছাদ থেকে হিমুকে ফেলে হত্যা করা হয়।

আদালত সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, প্রথমবার গত ২৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রায় ঘোষণার কথা থাকলেও বিচারক ছুটিতে থাকায় তা পিছিয়ে ১১ আগস্ট রায় ঘোষণার সময় নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। এরপর ১০ আগস্ট জানা যায় চট্টগ্রাম আদালতের মারা যাওয়া আইনজীবীদের স্মরণে পরদিন ‘ফুল কোর্ট রেফারেন্স’ থাকবে। এ কারণে ওইদিনও রায় ঘোষণা হয়নি। সর্বশেষ পরদিন এ মামলায় রায় ঘোষণা করতে আজ ১৪ আগাস্ট সময় নির্ধারণ করেন আদালত।

মামলার বিবরণে প্রকাশ ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ‘ফরহাদ ম্যানশন’ নামের (১০১ নম্বর বাড়ি) ব্যবসায়ি শাহ সেলিম টিপুর বাড়ির ছাদ থেকে হিমাদ্রি মজুমদার হিমুকে হিংস্্র কুকুর (বিদেশী) লেলিয়ে আক্রমন ও ধাক্কা দিয়ে ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেয়া অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে তরুণরা।

HimadriMurder
হিমু হত্যার ৫ আসামী। (উপরে নিহত হিমাদ্রি মজুমদার হিমু)।

গুরুতর আহত হিমু প্রথমে চট্টগ্রাম এবং পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ঐ বছরের ২৩মে মারা যান। তখন হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।

এ ঘটনায় হিমুর মামা প্রকাশ দাশ অসিত বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।

মামলায় আসামী করা হয়-ব্যবসায়ী শাহ সেলিম টিপু, তার ছেলে জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং রিয়াদের তিন বন্ধু শাহাদাৎ হোসাইন সাজু, মাহাবুব আলী খান ড্যানি এবং জাহিদুল ইসলাম শাওনকে।

মামলা হওয়ার এক মাস পর শাহাদাত হোসেন সাজু এবং পরে ব্যবসায়ি শাহ সেলিম টিপু ও জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তিনজনই জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে যান।

২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজনকে আসামি অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১৮ অক্টোবর পালাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

Himadri
নিহত হিমাদ্রি হিমু

চার্জশীট দেয়ার প্রায় দেড় বছর পর ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত।

একই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০১৫ সালের বছরের ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হয় যুক্তি উপস্থাপন।

এদিকে ২০১৪ সালের ১৫ জুলাই হিমু হত্যা মামলা চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে মামলাটি চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শহীদুল ইসলামের আদালতে বিচারাধীন ছিল।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে গত ৫ আগস্ট প্রথমবারের মতো শুনানির দিন ধার্য থাকলেও ২১ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও জাফর আহমদের বেঞ্চ মামলার বিচার কাজ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন। যার আদেশ চট্টগ্রাম আদালতে পৌছে ৪ আগস্ট। পরে এ কারণে আর শুনানি হয়নি।

এরপর ৭ আগস্ট বাদিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। প্রত্যাহার সংক্রান্ত আদেশটি বিচারক আদালত চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শহীদুল ইসলামের আদালতে এসে পৌঁছেলে ফের এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানায় আদালত সুত্র।

special04
স্কুল ছাত্র হিমাদ্রি হিমু হত্যা মামলার ৫ আসামী।

৬ জন সাক্ষীর গ্রহণ শেষে ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে প্রায় সাড়ে ১০ মাস পর চলতি বছরের ১৬ জুলাই আদালত জানায় ২৮ জুলাই রায় ঘোষণা করবেন।

উল্লেখ্য, হিমু হত্যা মামলায় জামিনে থাকা দুই আসামি শাহ সেলিম টিপু ও শাহাদাত হোসাইন সাজু ইতোমধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। মামলার আরেক আসামি মাহাবুব আলী খান ড্যানি আগে থেকেই কারাগারে আছেন। বাকি দুই আসামি জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ ও জাহিদুল ইসলাম শাওন পলাতক রয়েছেন।

এদের মধ্যে রিয়াদ শুরুতে কারাগারে থাকলেও পরে পলাতক হন। আর শাওন শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিহত হিমুর বাবা প্রবীর মজুমদার বলেন, এ মামলার শুরু থেকে অনেক প্রভাবশালী সক্রিয় থাকায় মামলাটি নানাভাবে বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা হয়েছে। তিনি ও তার পরিবার প্রত্যাশায় ন্যায়বিচারের পেয়েছেন বলে জানান।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print