ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মারজান এখন আর চবি’র ছাত্র নয়ঃ চবি ভিসি

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

Marzan-thereport24
‘মাস্টার মাইন্ড’ নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান।

চবি প্রতিনিধি

গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান এখন আর চবি ছাত্র নয় বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি জানান আরবী বিভাগে সর্বশেষ গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০৫ নম্বর কোর্সের পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরপর থেকেই সে অনুপস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী সে এখন আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেই। তবে বিভাগ ও তার বর্ষের শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, ৪র্থ বর্ষের ক্লাস এ বছরের ২২ শে ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে। যেহেতু সে ৩য় বর্ষে ভর্তি হয় নি সেহেতু সে চাইলে এখন ৩য় বর্ষে পুনঃভর্তি হতে পারে।

গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়া অনুপস্থিত ৬ শিক্ষার্থীর তালিকায় মারজানের নাম না থাকা নিয়ে উপাচার্য বলেন, বিভাগের সভাপতি দুর্ঘটনাজনিত কারণে অসুস্থ থাকায় যথাসময়ে তালিকা জমা দিতে পারে নি। এ বিষয় নিয়ে আমরা আজ বিভাগের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করব।

বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কতটি বিভাগ এখন পর্যন্ত অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তালিকা দেয় নি এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি তিনি। তবে আজ কালের মধ্যে বাকী বিভাগগুলোকে তালিকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এখন থেকে প্রতি দুইমাস অন্তর অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তালিকা হালনাগাদ করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন।

বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান। তবে ক্যাম্পাসে সে ফাহাদ নামে পরিচিত ছিল ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় সিজিপিএ ৩.৪৮ পেয়ে সে দ্বিতীয় বর্ষে উর্ত্তীণ হয়। এরপর ২০১৫ সালে ২য় বর্ষের ছয়টি কোর্সের পরীক্ষা দিলেও বাকী পরীক্ষা গুলোতে আর অংশ নেয় নি।

এদিকে মারজান জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার খবরে তার পরিবারে স্বজনদের মাঝে নেমে এসেছে ক্ষোভ ও হতাশা। মারজান কীভাবে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লো তা জানেন না তারা। তবে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা থাকলে তার বিচার চায় পরিবার।

নুরুল ইসলামের বাবা পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামের গেঞ্জি তৈরির কারিগর। নিজাম উদ্দিন ও সালমা খাতুন দম্পতির ৫ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান মারজান। পারিবারিকভাবে ধর্মীয় অনুশাসন ও আর্থিক অনটনে বেড়ে ওঠা তার।

স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় কান্না থামছে না অসহায় দরিদ্র বাবা-মায়ের। তাদের আদরের সন্তান কীভাবে এ পথে পা বাড়িয়েছে তা কখনও বুঝতে পারেননি তারা।

বাবা নিজাম উদ্দিন জানান, আফরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণী পাশ করার পর মারজান ভর্তি হয় শহরের পুরাতন বাঁশবাজার আহলে হাদিস কওমী মাদরাসায়। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি পাবনা আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে দাখিল ও আলিম পাশ করেন। এরপর ২০১৪ সালে ভর্তি হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে।

‘এ বছরের জানুয়ারিতে শেষবার বাড়িতে আসার পর স্ত্রীকে নিয়ে চট্টগ্রাম চলে যায় মারজান। তারপর গত ৭ থেকে ৮ মাস ধরে মারজানের সঙ্গে যোগাযোগ নেই আমাদের। তিনদিন আগে পত্রিকায় ও টিভিতে ছবি দেখে আমার ছেলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারি। ছেলে যে এতটা খারাপ পথে গেছে তা ভাবতে পারছি না। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। এমন ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবো না’, বলেন নিজাম উদ্দিন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print