ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

1457418566
মীর কাসেম আলী

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

মীর কাসেমের আইনি লড়াইয়ে রিভিউ আবেদনই শেষ ধাপ। এই আবেদন নাকচ হওয়ায় তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে কোনো বাধা থাকবে না।

মীর কাসেমের আবেদনের ওপর গত রোববার শুনানি শেষ হয়। এরপর ৩০ আগস্ট (আজ) আদেশের তারিখ রাখেন আপিল বিভাগ। বিষয়টি আদেশের জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের আজকের কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা-ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের তৈয়ব আলী ছেলের মীর কাশেম। বাবার চাকরির সুবাদে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন চট্টগ্রামে। ভর্তি হন চট্টগ্রাম কলেজে। ১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের ছাত্র থাকার সময় জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের চট্টগ্রাম সভাপতি হন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে আল বদর কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘু একটি পরিবারের বাড়ি ‘মহামায়া ভবন’ দখল করে বানান নির্যাতন কেন্দ্র।

তার নেতৃত্বেই চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে চলত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর নির্মম নির্যাতন। ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ে ডালিম হোটেলকে বলা হয়েছে ‘ডেথ ফ্যাক্টরি’।

মুক্তিযুদ্ধের পর লন্ডন হয়ে চলে যান মধ্যপ্রাচ্যে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে ফেরা মীর কাসেমের নেতৃত্বেই ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ইসলামী ছাত্রসংঘ নাম পরিবর্তন করে ছাত্রশিবির নামে আত্মপ্রকাশ করে। তিনি হন শিবিরের প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতি। ১৯৮০ সালে তিনি রাবেতা আল ইসলামীর এ দেশীয় পরিচালক হন। মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণের কথা বলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আনা হয় বিপুল অর্থ।

ব্যাংক, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, গণমাধ্যম ও শিক্ষা-সব খাতেই ব্যবসা ছড়িয়ে দেন মীর কাসেম। জামায়াতের আর্থিক ফান্ড সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি নিজেও হন শত শত কোটির টাকার মালিক। আর সেই অর্থর প্রভাব খাটিয়েই মানবতাবিরোধী বিচার বানচালের উদ্দেশে বিদেশে নিয়োগ করেছিলেন লবিষ্ট।

তবে বিচার ঠেকানোর চেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসীম উদ্দিনকে হত্যার অভিযোগে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে আপিল বিভাগ। আরো ছয়টি অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় পান ৫৮ বছরের সাজা।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print