ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

জেনারেল সোলাইমানি হত্যা: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধের হুমকির মুখে মধ্যপ্রাচ্য। এমন আশঙ্কা জানিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভবিষ্যৎ পরিণতির কথা না ভেবেই সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানি সমরবিদ সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর সৃষ্ট উত্তেজনার পারদ, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র এমনকি মধ্যপ্রাচ্য ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে বলেও মনে করছেন অনেকে।

ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড বাহিনীর বিদেশ শাখা, অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি মার্কিন হামলায় নিহত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ যখন তরতর করে উপরে উঠছে, তখন বিশ্লেষকরা ব্যস্ত বিশ্ব রাজনীতির সমীকরণ মেলাতে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, জেনারেল কাসেমিকে হত্যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র কার্যত ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের মতে, এ পদক্ষেপের কারণে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার ক্ষীণ সম্ভাবনাও দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর মোহাম্মদ মারান্ডি বলেন, ইরান এবং ইরাক দুটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। জেনারেল কাসেমিকে ইরানিরা বীর হিসেবে মান্য করে। তাই ইরাকের অভ্যন্তরে ইরানি জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা, তেহরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার থেকেও বড় কিছু। আমার মনে হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিষদ বিবেচনা না করে, তড়িঘড়ি করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে পশ্চিমাপন্থী বিশ্লেষকরা বলছেন, কাসেমি নিহত হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইরানের চালানো ছদ্মযুদ্ধে ভাটা পড়বে। আর এতে ওই অঞ্চলে স্বাভাবিকভাবেই কমবে ইরানি প্রভাব।

মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক প্রফেসর উজি রাবি বলেন, এটাকে খুব নাটকীয় একটা ঘটনা বলা চলে। জেনারেল সোলাইমানি ছিলেন আরব বিশ্ব এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানি প্রভাব বিস্তারের প্রধান স্থপতি। তাই তিনি নিহত হওয়ার পর, ইরানকে এখন যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে চিন্তা করতে হবে। আমি মনে করি, আগামী কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ ঘটনার গতিবিধি বোঝা যাবে। তবে এ কথা সত্য, মধ্যপ্রাচ্য বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়লো।

অনেক বিশ্লেষকের আশঙ্কা, কাসেমি হত্যাকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বিশ্বব্যাপী। বিশেষ করে, এ ঘটনার পর বৈশ্বিক অর্থনীতি বড় ধরনের ধাক্কা খাবে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ পল পং বলেন, আমি মনে করি ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সাধারণ মানুষই নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। হয়তো এটা বিশ্বযুদ্ধে রূপ না নিয়ে সর্বোচ্চ আঞ্চলিক যুদ্ধেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু এর প্রভাব পড়বে বিশ্বব্যাপী। তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে এরই মধ্যে বেশ কিছু দেশের শেয়ার বাজারে ধস নামতে শুরু করেছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print