ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সীতাকুণ্ডে সরকারী জায়গা দখল করে ওজন স্কেল নির্মাণ করেছে সাবেক ইউপি সদস্য

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ডঃ

বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না, কিন্তু সে আইন যে সব ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না, তা বোঝা যায় সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায়।

স্থানীয় কেশবপুর এলাকার রাজা মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন নামের এক সাবেক ইউপি সদস্য রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে সড়ক ও জনপথ (সওজ) এর ৬৫৬ নং দাগের প্রায় ১শত ৩০ শতাংশ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নিমার্ণ করেছে ” খাজা আজমিরি চিশতিয়া কম্পিউটার স্কেল ” এবং লোহার ডিপু।

এলাকায় ভূমিদস্যু নামে পরিচিত জসিম মেম্বার একদিকে সরকারী জায়গা দখল করে নির্মাণ করেছে গাড়ির ওজন মাপা স্কেল অন্যদিকে আশেপাশের অনেক গরীব, অসহায় মানুষের জায়গা জমিও জোর পূর্বক দখল করেছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

জানাযায়, কদমরসুল এলাকায় সরকারী জায়গাতে ওজন স্কেল নির্মাণ করতে সড়ক ও জনপদ (সওজ) থেকে কোন প্রকার লীজ নেওয়া হয়নি। রাতের অন্ধকারে মাটি ভরাট করে জায়গা দখল করে উক্ত জসিম মেম্বার নির্মাণ করেছে ওজন স্কেল।

এব্যাপারে জসিম মেম্বার উত্তেজিত হয়ে বলেন, সারা দেশেই সরকারী জায়গা দখল করে আছে মানুষ, আমিও দখল করেছি। সরকার চাইলে তা ছেড়ে দেবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন বলেন, সওজ এর জায়গা দখল করে স্কেল নির্মাণ করেছে স্থানীয় এক ব্যক্তি, এমন অভিযোগের ভিক্তিতে আমি সরেজমিনে গিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দেওয়া হবে এবং অবৈধভাবে সরকারী জায়গা দখল করে গড়ে তোলা ওজন স্কেলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে জসিম মেম্বারের বিরুদ্ধে এলাকার নিরীহ মানুষের জায়গা দখল করে নেওয়ার অভিযোগে ভূক্তভোগী পরিবার কিছুদিন আগে তার বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলন করেছে।

ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর হতে স্থানীয় মুন্সি মিয়ার জায়গায় ২০১৪ সাল থেকে দখল সত্ব হিসেবে বসবাস করে। পরে ২০১৭ সালে সড়ক ও জনপদ বিভাগে বন্দোবস্তির জন্য আবেদন করলে ২৪/৮/২০১৭ সালে ৩১২ নং স্মারকে বন্দোবস্তি দেয়। ২০১৪ সালে বসবাসকৃত জায়গার দক্ষিণ পূর্বে অবৈধভাবে নিমার্ণ করা হয়েছে খাজা আজমিরি চিশতিয়া কম্পিউটার স্কেল। যার মালিক স্থানীয় কেশবপুর এলাকার রাজা মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন মেম্বার। স্কেল প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা ভাবে জুলুম ও অত্যাচার করে আসছে। ২০১৩ সালে জমির আলীর জমি জবর দখল করে স্কেলটি নির্মাণ করে। এর পরেও সে থেমে থাকেনি। বর্তমানে আমাদেরকেও উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে। ১০ ফুট উচু করে বালু ফেলার কারণে ভিটার পানি আমাদের ঘরে ঢুকছে। রাতে ঘুমানো যায় না। বালু, পুরাতন জাহাজ ভাঙার ভাইভার পিচ রাখায় তা আমাদের গায়ের উপর গড়িয়ে পড়ে। যে কারণে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সীতাকুণ্ডের এই ভূমি দস্যু ও জবর দখলবাজ জসিম মেম্বারের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পেতে ভূক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের সুুদৃষ্টি কামনা করেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print