চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. আলমগীর (৫৫) নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকায় কায়কোব্বাদ আহমদ চৌধুরী জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. আলমগীর রাউজান পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের চৌধুরী মার্কেট এলাকার সিদ্দিক চৌধুরীর বাড়ির আবদুস সত্তারের ছেলে। তিনি রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন।
এ ঘটনায় একই এলাকার মো. কালু সওদাগরের ছেলে মো. রিয়াজ (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকালে মো. আলমগীর তার বড় ভাইয়ের বাড়িতে জমি সংক্রান্ত এক বৈঠকে যোগ দেন। সেখান থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেলযোগে আসা একদল সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আলমগীর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছেলে মো. আরাফাত বলেন, নিকট আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আমার বাবাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমি দ্রুত পালিয়ে জীবন রক্ষা করি। পরে এসে দেখি বাবাকে মেরে সন্ত্রাসীরা পালিয়েছে। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা পুলিশকে বলা হবে।
ঘটনার পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্ত্রী লাভলী আকতার। তিনি স্বামী হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করেন।
রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. নাজমুল হাসান জানান, নিহত আলমগীরের শরীরে ৮টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে রাউজান থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও জানান, রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় কেউ মামলা করেননি। তবে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
