t শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বানিজ্য বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী ক্যাবের – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বানিজ্য বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী ক্যাবের

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে নামীদামী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুসরণীয় নীতিমালা উপেক্ষা করে ভর্তি ও পুনঃ ভর্তির নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মবর্হিভুত ভাবে অর্থ আদায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন এর কাছে দাখিলকৃত এক পত্রে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন- নগরীর বিভিন্ন বেসরকারী স্কুলে ভর্তির সময় পুনঃভর্তি, উন্নয়ন ফিস, টিসি গ্রহনের সময় পুরো বছরের ফিস আদায়, নতুন সেশনে ভর্তির ইত্যাদির নামে-বেনামে হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

অন্যদিকে অন্য চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম বন্দর, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বেপজাসহ বিভিন্ন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত স্কুলেও নানা অযুহাতে ভর্তি, পুনঃভর্তি এবং টিউশন ফি দ্বিগুন করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে ভর্তি বানিজ্য কঠোর ভাবে মনিটরিং করে বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

নেতৃবন্দ বলেন, ডিসেম্বর মাস থেকে নগরীতে শুরু হয়েছে কেজি স্কুলে ভর্তি বানিজ্য। সরকারী ও নামীদামী স্কুলে ভর্তির জন্য কোচিং ব্যবসা, ভর্তির সময় ডোনেশন, বিভিন্ন ফিস আদায় করে মধ্যবিত্ত সহ সকল নাগরিকদের মাঝে শিক্ষা অধিকারের পরিবর্তে একটি অতি খরচ নির্ভর পণ্যে পরিণত হয়েছে। একজন সাধারন নাগরিককে ভর্তি, পুনঃ ভর্তি, টিউশন ফিস, বাই-খাতা ইত্যাদির নামে এতো খরচের বোঝা চাপানো হচ্ছে, যার ভারে মধ্যবিত্তের জীবন মরার উপর খারায় ঘাঁ যেন নিত্য সঙ্গী। নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন ভর্তি, পুনঃ ভর্তি, টিউশন ফিস ও টিসির টিস আদায়ের কোন নিয়ম নীতি মেনে চলার নজির পাওয়া যাচ্ছে না, যে যার ইচ্ছামতো গলাকাটা ভাবে আদায় করে পকেট ভর্তি করছে। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে শির্ক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালা উপেক্ষা করে যে যার মতো ফিস আদায় করছে।

নেতৃবৃন্দ আরো উল্লেখ করেন ডিসেম্বর শুরুর বহু পুর্বেই শুরু হয়েছে ভর্তি কোচিং বানিজ্য, আবার সরকারী স্কুলে স্কুলের ক্লাসের সাথেই চলছে কোচিং, অতচ এগুলি তদারকির দায়িত্বে যারা নিয়োজিত জেলা শিক্ষা অফিস, শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা প্রশাসন দিবা নিদ্রায় ভগ্ন। জেলা প্রশাসন কিছু কিছু উদ্যোগ নিলেও তা আরো বাড়ানো এবং জোরদার করা দরকার এ্বং একই সাথে শিক্ষা প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার।

ক্যাব নেতৃবন্দ বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ, বন্দর, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত সেবা সংস্থা গুলি পরিচালিত স্কুলগুলিও এ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে সাধারন ও ব্যাক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠানে মতো বানিজ্যিক কর্মকান্ড পরিচালনা করলে অন্যান্য ব্যক্তি উদ্যোক্তাগন অবশ্যই জনগনের পকেট কেটে নিজের পকেট ভারী করবে। তাই তাদের এ ধরনের আচরন পরিহার করা উচিত বলে অনতিবিলম্বে এ ধরনের আচরন পরিহারের দাবি জানান।

জেলা প্রশাসককে চিঠি হস্তান্তর উপলক্ষে যারা উপস্থিত ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগরের যুগ্ন সম্পদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব নেতা সেলিম জাহাঙ্গীর প্রমুখ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print