ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামে চালু হল প্রধানমন্ত্রীর দেয়া শিক্ষার্থীদের ১০টি বাস

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামের স্কুল শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ‘উপহার’ ১০টি দ্বিতল বাস চালু হয়েছে।

আজ শনিবার (২৫জানুয়ারী) সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম চত্বরে ১০টি বাসের উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ফিতা কেটে বেলুন উড়িয়ে এই বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই বাসগুলোতে যে কোনো দূরত্বে মাত্র পাঁচ টাকায় শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারবে।

.

জেলার প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলমাস শিমুল।

মুজিববর্ষের শুরুতেই নতুন ১০টি বাস উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম মহানগরীর যেকোনো দূরত্বে পাঁচ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস উদ্বোধন করা হয়। নগরের বহদ্দারহাট থেকে নিউ মার্কেট ও অক্সিজেন থেকে আগ্রাবাদ রোডে চলাচল করবে এই ১০টি দ্বিতল বাস।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু হাসান সিদ্দিক জানান, বাসগুলো নগরীর দুটি রোডে মর্নিং এবং ডে শিফটে স্কুল শুরু এবং ছুটির সময়ে চলাচল করবে। প্রতি বাসে আসন রয়েছে ৭৫টি। শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস পরিহিত অবস্থায় বাসে উঠতে হবে। প্রতি বাসে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। যা ডিসি কার্যালয় থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

শিক্ষার্থীরা যে কোনো দূরত্বে মাত্র পাঁচ টাকা ভাড়ায় চলাচল করতে পারবে। এ বাসে কোনো সুপারভাইজার কিংবা কোনো টিকিট কাউন্টার থাকবে না। শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় সততার কাউন্টারে পাঁচ টাকা ভাড়া দিয়ে দিয়ে বাসে যাতায়াত করবে।

.

জানাগেছে, ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা স্কুলবাস চালুসহ ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন। ওই সময় জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের জন্য বিআরটিসি বাস বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দেন জেলা প্রশাসক।

গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০টি দোতলা বাস বরাদ্দ দেয় বিআরটিসি। তবে পরিচালন ব্যয়সহ নানা জটিলতার কারণে এগুলো রাস্তায় নামানো যায়নি। স্কুলবাস পরিচালনায় শেষ পর্যন্ত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় জিপিএইচ ইস্পাত। তারা বাস সার্ভিসটির পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বাসগুলোর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে স্কুলের সময়সূচির সঙ্গে মিল রেখে।

মর্নিং শিফট ও ডে শিফটের জন্য থাকছে আলাদা বাস। নগরীর প্রধান দুটি রুটে বাসগুলো চলাচল করবে। এক নম্বর রুট হচ্ছে- বহদ্দারহাট থেকে শুরু হয়ে নিউ মার্কেট ভায়া বাদুরতলা, মুরাদপুর, চকবাজার, গণি বেকারি, জামালখান, চেরাগি পাহাড়, আন্দরকিল্লা এবং কোতোয়ালি এলাকা। দুই নম্বর রুটটি হচ্ছে-অক্সিজেন মোড় থেকে মুরাদপুর, জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড় এবং টাইগারপাস ও আগ্রাবাদ এলাকা।

প্রতি মাসে এসব বাস থেকে ৪ লাখ টাকা আয় হতে পারে। ব্যয় হবে প্রায় ৯ লাখ টাকা। ব্যয়ের ঘাটতি পূরণ করতে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print