
১৫ আগস্টের ঘটনাকে কারবালার সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঐদিন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কাউকে রেহাই দেয়া হয়নি ঘাতকরা। বঙ্গবন্ধুর রক্ত নিশ্চিহ্ন করতে ছোট শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার অপরাধে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করা হয়।
তিনি মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট থেকে রাসেল বড় হয়েছে বাবা-মা, ভাই-বোন সবার স্নেহ নিয়ে। কিন্তু কতোটুকু পেয়েছে পিতৃস্নেহ? তাকে বড় হতে হয়েছে পিতৃস্নেহ বঞ্চিত হয়েই।’
‘রাসেল বাবাকে খুঁজে বেড়াতো। মা বলতেন যে, আমিই তো তোমার বাবা। তখন সে মাকে মা বলেও ডাকতো, বাবা বলেও ডাকতো। এভাবেই রাসেল ছোট থেকে বড় হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যখন বাবার সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে যেতাম, তখন রাসেলকে সেখান থেকে নিয়ে আসাটা কষ্টকর হতো। সে বাবাকে ছেড়ে আসতে চাইতো না। তখন তার কতোইবা বয়স? ঠিকমতো কথাও বলতে শেখেনি।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্ত নিশ্চিহ্ন করতে ঘাতকরা রাসেলকে হত্যা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব কষ্ট বুকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের কোনো শিশু লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হবে না। বাংলাদেশের মানুষ কারো কাছে মাথা নত করবে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাজীবনের স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন বাবার সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে যেতাম, তখন রাসেলকে সেখান থেকে নিয়ে আসাটা কষ্টকর হতো।
তিনি বলেন, সে বাবাকে ছেড়ে আসতে চাইতো না। তখন তার বা কতোইবা বয়স? ঠিকমতো কথাও বলতে শেখেনি। সে বাবাকে খুঁজে বেড়াতো। মা বলতেন যে, আমিই তো তোমার বাবা। তখন সে মাকে মা বলেও ডাকতো, বাবা বলেও ডাকতো। এভাবেই রাসেল ছোট থেকে বড় হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী প্রজন্মকে ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। কেননা, ত্যাগের মধ্য দিয়ে মহান কিছু অর্জন করা সম্ভব।