t “উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্রচার-প্রসারে সরকার এতটা দরদী কেন” প্রশ্ন আল্লামা কাসেমীর – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

“উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্রচার-প্রসারে সরকার এতটা দরদী কেন” প্রশ্ন আল্লামা কাসেমীর

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ তথা ‘ইসকন’কে একুশে বই মেলায় স্টল বরদ্দ দেওয়ায় বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথম মেয়াদ থেকেই আমরা দেখে আসছি দু’ একটা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাংলা একাডেমিতে ইসলামী প্রকাশকদের অংশগ্রহণ অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তাছাড়া ব্যাপক পাঠক চাহিদা থাকায় যেসব স্টল ইসলামী বই-পুস্তক বিক্রি করতে চায়, তাদেরকেও নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।

অথচ উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্রচার-প্রসারে জড়িত একটা বিতর্কিত সংগঠনকে মেলায় জায়গা করে দিতে সরকার এতটা দরদী হয়ে ওঠল কেন, এমন প্রশ্ন সামনে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা বহুভাবে লক্ষ্য করছি উগ্র হিন্দুত্ববাদ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সরকারের এমন দরদী সহযোগিতা নিয়ে একদিকে দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে।

অন্যদিকে মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির অপবাদ দিয়ে চাতুর্যের সাথে ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও চেতনাবোধ উৎখাতের জোর চেষ্টা চলছে।

জমিয়ত মহাসচিব বলেন, ইসকন হলো বিতর্কিত আন্তর্জাতিক একটি হিন্দুত্ববাদি সংগঠন। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের জনমনে ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে ঘোরতর সংশয় তৈরি হয়েছে। বহু সংগঠনের পক্ষ থেকে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের জোর দাবিও বার বার তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলা একাডেমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় একটা প্রতিষ্ঠান।

বইমেলা আয়োজিত হয় বাংলাদেশের জনগণের করের টাকায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে। এরকম বিতর্কিত আন্তর্জাতিক হিন্দুত্ববাদি একটা সংগঠনের সঙ্গে বইমেলার কোনরূপ যোগসূত্র থাকতে পারে না।

আল্লামা কাসেমী বলেন, ইসকনের ধর্মীয় মতাদর্শ নিশ্চিতভাবেই সাম্প্রদায়িক। এই সাম্প্রদায়িকতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে আরও সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দেবে। যা বাংলাদেশে সরকার যে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করতে চায় বলে প্রচার করছে, তার জন্য সরাসরি হুমকি স্বরূপ।

তিনি বলেন, আমরা অবিলম্বে ইসকনের স্টল বরাদ্দ বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। বাংলাদেশের শান্তি-শৃঙ্খলা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং বহু মতের মানুষের সামাজিক সহাবস্থান অটূট ও হুমকিমুক্ত রাখার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরী। অন্যথায় এই উস্কানিমূলক পদক্ষেপের জন্য জনগণের যে কোন ক্ষোভের প্রকাশ ঘটলে তার দায় বাংলা একাডেমির উপরই বর্তাবে।

সুত্রঃ প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print