
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার উত্তর ইউনিয়নে একেএম নুরুল আজম চৌধুরী (৬৮) নামে সাবেক এক পুলিশ সদস্যকে গলাকেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাড়পাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাউজান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মীর হোসেন জানান, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আজম চৌধুরীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে । তবে কে বা কারা কেন তাকে হত্যা করেছে এই ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
নিহত নুরুল আজমের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার গড়দোয়ারা ইউনিয়নের গড়দোয়ারা গ্রামে। পাশের রাউজান হারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তাঁর একটি স্টেশনারির দোকান আছে। তিনি বই-খাতা বিক্রি করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নুরুল আজম তাঁর দোকানের পাশের পুকুরে গোসল করেন। এরপর দোকান খোলেন। সকাল ১০টার দিকে এক যুবক কিরিচ দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেন। দোকানের সামনের পুকুরে তাঁর দ্বিখণ্ডিত লাশ পড়ে ছিল।
দুপুরে পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা গিয়ে পুরো এলাকা ক্রাইম সিন দিয়ে ঘিরে রাখেন। ঘটনাস্থলে পিবিআই, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ও রাউজান রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের পুলিশ সুপারসহ (এএসপি) থানা-পুলিশের একটি দল আছে।
নিহতের ছোট ভাই গড়দোয়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম এনাম চৌধুরী বলেন, তাঁর ভাই নুরুল আজম একজন মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশের সাবেক সদস্য।
রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘মানুষটা খুব সহজ-সরল, দেশপ্রেমিক ও বইপ্রেমী ছিলেন। এ কারণে বাড়ি ছেড়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে এখানে বইয়ের দোকান খুলে সেখানেই থাকতেন।