
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তোড়জোর শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলদের দৌড়ঝাপ শুরু হলেও বিএনপিসহ অন্যান্য দলের তৎপরতা এখনো দেখা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের জন্য মনোনয়ন পত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার এবং আজ মঙ্গলবার মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছিরসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা।
গতকাল সোমবার থেকে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে দলীয় ফরম বিতরণ শুরু হয় বলে দলীয় সুত্রে জানাগেছে। প্রথমদিনেই মেয়র পদে চারজন, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
তারা হলেন-নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির পুত্র মুজিবুর রহমান।
এব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। যে কারণে আমরা আগেভাগেই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে ফরম বিতরণ শুরু করেছি। প্রথমদিনে মেয়র পদে চারজন এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯৩ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আজ সকাল ১০ টায় বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবে। তিনি জানান, জমাকৃত ফরমগুলো যাচাই বাছাই শেষে দলীয় সভানেত্রী প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবেন।
জানাগেছে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফরম বিক্রি করা হবে এবং ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মেয়র পদের প্রার্থীরা ২৫ হাজার টাকা ও কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন।
এব্যাপারে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি সাংবাদিকদের বলেন- ‘আমি কোন ফরম নিই নাই। আমার নামে কেউ নিলেও নিতে পারেন।’ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা দলের সিদ্ধান্ত।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমাকে দিয়েই ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন। হাল ছাড়ছি না। অনেকদিন পার্টি করছি, দলের সাথেই আছি। নেত্রী ও দল যদি মনে করে আমি জনগণের সেবা করতে পারবো, তাহলে আমিই মনোনয়ন পাবো।’
নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানাগেছে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে ৩০ মার্চ সোমবার।