ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বহিরাগত ঠেকাতে ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে সেনা অফিসার চান ডা: শাহাদাত (ভিডিও)

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

আব্দুল্লাহ আল জামিলঃ

ভোট কেন্দ্রে ও ভোট প্রদানের গোপন কক্ষে বহিরাগতদের অবস্থান ঠেকানে প্রতিটি বুথে একজন করে সেনা অফিসার নিয়োগ চান আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থী ও নগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন।

সম্প্রতি পাঠক ডট নিউজের সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি এই দাবী জানান।

ডা: শাহাদাত হোসেন আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহের আমেজ বিরাজ করছে উল্লেখ করে বলেন, ৪১ ওয়ার্ডের বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে উচ্ছাস আনন্দ দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দুইশতাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী, ৪০ জনের মত মহিলা কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

কাজেই ইসি যদি এ পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে আগের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং ইসি ও আওয়ামী লীগ মিশে একাকার হয়ে গেছে তার থেকে বেরিয়ে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারে তাহলে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন একটি মডেল হতে পারে। এবং ভোটার যে ভোট কেন্দ্রে আসছে না। ভোটের প্রতি মানুষের যে অনিহা সৃষ্টি হয়েছে সেটা কেটে যাবে। এ জন্য ইসির একটা গুরু দায়িত্ব রয়েছে।

ডা. শাহাদাত বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হওয়া বিগত নির্বাচনে আমরা দেখেছি গোপন কক্ষে বহিরাগতরা অবস্থান করে ভোটারদের উপর প্রভাব বিস্তার করছে। নৌকার পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এমন অনিয়ম যেন না হয় সেজন্য প্রতিটি বুথে একজন করে সেনা অফিসার দিয়ে ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ বিগত কয়েকটি নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে দলের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগের পর আপনার কেন আবার নির্বাচনে যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা আমার নির্বাচনে যাচ্ছি। নির্বাচনে অনিয়মগুলো জনগণের মাঝে তুলে চাই যাতে করে সরকারের যেন টনক নড়ে। নির্বাচন ব্যবস্থা যেন তারা সুষ্ঠু করে। নির্বাচন ব্যবস্থায় যেন একটা সংস্কার নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, মানুষের শেষ সম্বল একটাই ভোটের অধিকার। সেই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যই আমরা সবসময় সচেষ্ট আছি। আমাদের নেত্রী সবসময় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। গণতন্ত্র রক্ষার শেষ মাধ্যমটা যেন শেষ হয়ে না যায় সেই জন্যই আমরা নির্বাচন যাচ্ছি।

নির্বাচনের যাওয়ার মাধ্যমে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার হচ্ছে দাবী করে ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচনের পর সেখানে বড় সমাবেশ সেটা সিটি নির্বাচনে অংশ গ্রহণের কারনেই সম্ভব হয়েছে। আগে যে সকল এলাকায় মিছিল হতোনা সেখানে নির্বাচন উপলক্ষে মিছিল হচ্ছে। ধানের শীষ ও জিয়াউর রহমানের নামে শ্লোগান হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধানের শীষ,জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শ্লোগান উঠছে।

ভোটের দিন কেন্দ্রে বিএনপির নেতাকর্মীদের থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সকল নেতাকর্মীদেরকে বলেছি তারা যেন ভোটের দিন সেন্টারে থাকে। তারা যেন মাঠে থাকে। সবশেষ পর্যন্ত ভোটের ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবে। ফলাফল নিয়ে তারা ঘরে ফিরবে। চট্টগ্রামের মানুষ সবসময় সংগ্রামী। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে সেন্টারে থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনবে।

নির্বাচন কমিশন এবং আওয়ামীলীগ এক হয়ে গেছে। কাজেই সরকারের দায়িত্ব মানুষকে ভোট কেন্দ্র মুখী করা। এটাতে যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের উন্নয়নগুলো কোন কাজে আসবেনা। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ইসিকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে রুপধারণ করতে হবে। ভোট যেন নিরপেক্ষ হয়, ভোটার যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। কারন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীই যে জিতবে মানুষের মধ্যে যে ধারণা সৃৃষ্টি হয়েছে সেখান থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে। যতোক্ষণ পর্যন্ত তারা এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত জনগণ ভোটমুখী হবেনা।

ভোটাদের কেন্দ্র মুখী করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি কিছু দাবী পেশ করেন তিনি। এরমধ্যে হলো, প্রতিটি বুথে একজন করে সেনা অফিসার দিতে হবে। এজেন্টকে যেন বের করে দেওয়া না হয় সেই সুরক্ষা দিতে হবে। বুথে যে দলীয় লোকজন প্রবেশ করে তাদের বের করে দিতে হবে।

এনআইডি ছাড়া কাউকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়া। আর এইগুলো করতে না পারলে কমিশনের পদত্যাগ করা উচিত।

ভোট কেন্দ্রে জনগণের না আসা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রী এমপিসহ বিভিন্ন জন নানান কথা বলছে জানিয়ে তিনি বলেন, একটি দেশের গণতন্ত্র যখন তলানীতে এসে পড়ে তখন এই ধরণের কথা হয়। অর্থনৈতিকভাবে দেশ আজ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে, দেশে আইনের শাসন নেই। ভোটের অধিকার নাই। আজ সবেচেয়ে বেশি প্রয়োজন মানুষের ভোটের অধিকার। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।এটা ছাড়া কোন বিকল্প কিছু নেই। এটার জন্য জনগণ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে।

বিএনপি এজেন্টদের কেন্দ্রে পাওয়া যায়না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবার সিনিয়র নেতাদের এজেন্ট থাকার জন্য বলা হয়েছে।সমর্থকরা ভয় পেলেও নেতারাতো ভয় পাবেনা। প্রশিক্ষিত কর্মীরা সেন্টারে থাকবে।এজেন্ট সুরক্ষার জন্য কিছু কৌশলী ব্যবস্থা থাকবে।

নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিজয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয়, জনগণ যদি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে তাহলে অবশ্যই ধানের শীষের প্রার্থী বিজয়ী হবে। কারন বিএনপি জনগণের দল। বিএনপি সবসময় জনগণের পাশেই থাকে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print