
চট্টগ্রাম মহানগরীর ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় আনোয়ার জাহিদ তানভীর (৩০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন।
আজ বুধবার রাত ১১টার দিকে দক্ষিণ কাট্টলীর লোহারপোল এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদ আকতার চৌধুরীর বাড়ীর সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত তানভীর পাহাড়তলী থানার শান্তিবাগ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জাহিদ সরকারের ছেলে। তিনি পাহাড়তলী আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. ইসমাইল হোসেন। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী। নির্বাচনকে ঘিরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

বুধবার রাত ১১টার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী মোরশেদের বাড়ীর সামনে তার নির্বাচনী ক্যাম্পে অবস্থানের সময় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো. ইসমাইলের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে দুজনকে ছুরিকাঘাত করে। আহত আনোয়ার জাহিদ তানভীর ও মো. জনিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রাত সাড়ে ১১টায় তার মৃত্যু হয়।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুুলিশ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম পাঠক ডট নিউজকে বলেন, কুপিয়ে আহত করার কারণে অধিক রক্ত ক্ষরণে তানভীরের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা চলছে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদ আকতার চৌধুরী পাঠক ডট নিউজকে জানান, আমার বাড়ীর সামনে কাউন্সিলর প্রার্থী হাইব্রিট নেতা ইসমাইলের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী লেঙ্গা সোহেল, নেছার, আকতার,ফাহিম, শাকিব, পলাশসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী কয়েকটি মোটর সাইকেল নিয়ে এসে আমার কর্মী তানভীরকে কুপিয়ে এবং পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি।
স্থানীয়রা জানায়, তানভীরের খুনি সোহেল এর আগেও একটি খুন করেছে। ২০১৪ সাথে নগরীর মুরগী ফার্ম এলাকায় যুবদল নেতাকে হত্যা করে সে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও রয়েছে।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্সিলর প্রার্থী আসলাম হোসেন পাঠক ডট নিউজকে বলেন, ঘটনার সময় আমি অন্য এলাকায় গণ সংযোগে ছিলাম। আমার সমর্থকরা তানভীরকে মারেনি। তানভীর আমার দলের লোক। আমার ছেলেরা কেন তাকে মারবে।