
ওরা তিন ভাই, এক মায়ের পেটের সন্তান তিনজনই। তাদের নির্দিষ্ট কোন পেশা নেই। ভুয়া সাংবাদিক সেজে প্রতারণা এবং চাঁদাবাজিই তাদের পেশা। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় বসবাস এদের।
তিনভাই এক সঙ্গে এ প্রতারণা চালিয়ে আসছিলো এতোদিন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কথায় বলে “চোরের দশদিন গেরস্থ্যের একদিন”।
রবিউল ইসলাম (২৩), মো. আবু হাসান (মামুন) ও মাহফুজুর রহমান (১৯) এর ভাগ্য তাই হলো।
সোমবার রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানা এলাকায় একটি বেকারিতে চাঁদা চাইতে গিয়ে গলধোলাইয়ের শিকার হয়েছে তিন ভুয়া সাংবাদিক। জনতা গণধোলাই দিয়ে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। রাত আটটার দিকে নগরীর পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তাদের আটকের পরপরই রাতে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে এলাকার লোকজন ৩ জনকে পিটুনী দিয়ে আমাদের দিয়েছে। এখনো বলতে পারছিনা। তারা আসল না ভূয়া সাংবাদিক। আমরা যাচাই বাছাই করছি। এবং তারা যে পত্রিকার নাম বলছে তাদের সাথে কথা বলার পর বিস্তারিত জানাতে পারবো।
এদিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে তারা ৩ জন ভূয়া সাংবাদিক নিশ্চিত করে ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, অনলাইন পত্রিকা নিউজ একাত্তর ডট কম’র সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সরাইপাড়ার ঢাকা বেকারিতে ঢুকে তিন ভাই বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর ছবি তোলেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তারা বেকারিতে অবৈধ জিনিস রয়েছে জানিয়ে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ছবি ছাপানোর হুমকি দেন। তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে স্থানীয় জনতা তাদের গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশের টহল দল তাদের থানায় নিয়ে আসে।
ওসি বলেন, তারা ৩ জন নিউজ একাত্তর ডট কম নামে যে অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছে আমরা সে পত্রিকার সম্পাদকের সাথে কথা বলেছি তারা জানান যে আবু হাসান মামুন তার পত্রিকায় কিছুদিন কাজ করেছিল কিন্তু সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করায় মাসখানেক আগে তাকে পত্রিকা থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আটক তিন ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেফতার করে প্রতারণার মামলার পর তাদের কোর্টে পাঠানো হয়েছে।