ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার ঝুঁকিতে ৩ লাখ বাংলাদেশী

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

শওকত বিন আশরাফ, দক্ষিন আফ্রিকা থেকে:
দক্ষিন আফ্রিকায় বসবাসকারী শতভাগ বাংলাদেশী নাগরিক করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।ইতিমধ্যে গত একমাসে দক্ষিন আফ্রিকায় করোনাের সর্বশেষ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৮০ জনে,এর মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৪৫ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও আক্রান্ত আরো ৭’ব্যক্তি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আইসিইউতে রয়েছেন।

গত মার্চ মাসের ৩ তারিখ প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীটি সনাক্ত হয় দেশের কোয়াজুলু নাটাল প্রদেশে। এরপর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসছে যা গতকাল পর্যন্ত সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৭৮০।

এইদিকে সরকার করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত মার্চ মাসের ২৬ তারিখ থেকে টানা ২১ দিনের লকডাউন ঘোষনা করেছে।সকল নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শুধুমাত্র সুপারশপ, ঔষধের দোকান, পুলিশ, ট্রাফিক, ফায়ার সার্ভিস সহ সকল প্রকার জরুরি সেবা ছাড়া সকল কিছু বন্ধ রয়েছে দেশটিতে।

.

কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রম আমরা বাংলাদেশীরা। দক্ষিন আফ্রিকায় বর্তমানে প্রায় ৩ লাখের মত বাংলাদেশী নাগরিক ব্যবসা বানিজ্য করে বসবাস করে আসছে। যারা সকলে মুদি দোকান করে আসছে।সরকারি লকডাউন আদেশে একমাত্র সুপারশপ ছাড়া সকল ছোট ছোট মুদির দোকান বন্ধ রাখার ঘোষনা থাকলেও বাংলাদেশীরা এই আদেশের তোয়াক্কা না করে যে যার যার মত দোকান খোলা রাখছে এবং ব্যবসা বানিজ্য করছে। দোকান খোলা রাখলেও সিগারেট বিক্রি লকডাউন আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি হলেও বাংলাদেশীরা এসব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রীতিমতো সিগারেট বিক্রি করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সিগারেট বিক্রির অভিযোগে শতাধিক বাংলাদেশী নাগরিক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে।

সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দোকান খোলা রেখে গোপনে সিগারেট বিক্রি করলেও তেমন কোন সমস্যা দক্ষিন আফ্রিকায় হয়না, কারণ এই দেশে আবাধ গনতন্ত্রের চর্চা রয়েছে, গনতন্ত্রের অবাধ স্বাধীনতার কারণে অপরাধ করেও পার পেয়ে যেতে পারছে। এতে কোন সমস্যা নেই।

.

করোনা এমন একটি ভাইরাস যা সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। তাই পৃথিবীর দেশে দেশে লকডাউন চলছে।কিন্তু দক্ষিন আফ্রিকায় বসবাসকারী বাংলাদেশীরা মারাত্মকভাবে করোনাভাইরাসের ঝুকির মধ্যে দোকানদারি করে যাচ্ছে। প্রতিটা বাংলাদেশী নাগরিক দৈনিক কম করে হলেও ১ থেকে ২ হাজার লোকের সংস্পর্শে যাচ্ছে।দোকান খোলা রাখলেই প্রতিদিন কম করে হলেও ২ হাজার কাস্টমার দোকানে আসবে।তাই দক্ষিন আফ্রিকান বাংলাদেশীরা দোকানের কারণে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে না পারায় ১০০% করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এই দিকে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশীরা বসবাস করে জোহানসবার্গ, কেপটাউন ও ডারবানে। যেখানে সবচেয়ে করোনাভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে। জোহানেসবার্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬৩, কেপটাউনে ৩৫৩ ও ডারবানে ২০৬ জন ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে। এসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশীরা বসবাস করে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে ৮৬ বাংলাদেশী নাগরিকের মৃত্যু হলেও সবচেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ণ দক্ষিন আফ্রিকা বাংলাদেশীরা কিছুতেই সর্তক হচ্ছেনা।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print