ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

করোনায় মৃত্যহারে ইতালির পরই বাংলাদেশ!

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের খুটিনাটি নিয়ে নিয়মিত হালনাগাদ করে যাচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ডোমিটার’ নামক ওয়েবসাইট।

এটি সর্বশেষ যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তাতে অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের স্বল্প সংখ্যা নিয়ে এখনও অনেক দায়িত্বশীল লোক (৭০ জন) স্বস্তি প্রকাশ করলেও মৃত্যুর হার কিন্তু চরম মাত্রায় ভয়াবহ (১১.৪৩%)।

ভয়াবহের মাত্রা কেমন তা বুঝা যায়, যখন দেখি বাংলাদেশের করোনায় মৃত্যুর হার এখনও বিশ্বের মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতে! মাঝখানে খানিক বিরতি দিয়ে বাংলাদেশ এবার দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে, সেই সাথে মৃত্যুর শতকরা হার আরও বেড়েছে! আজ করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয় থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন। এর মানে দেশে প্রতি ১০০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১১ জন মারা যাচ্ছেন! যা ভাইরাসটির উৎপত্তি স্থল চীনের চেয়েও অনেক বেশি। ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে চীনে করোনায় মৃত্যুর হার ৪.০৪%। বাংলাদেশের সামনে আছে কেবল মৃত্যুপুরী বনে যাওয়া ইতালি (১২.২৫%), যদিও পার্থক্য খুবই সামান্য। আরেক মৃত্যুপুরী স্পেনের হারও বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম (৯.৩৯%)। করোনার নতুন আবাস আমেরিকায় অনেকে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুহার খুবই কম (২.৬৭%)।

এশিয়ার দুই দেশ দক্ষিণ কোরিয়া এবং মালয়েশিয়াতেও মৃত্যুহার যৎসামান্য, যথাক্রমে ১.৭৪ % ও ১.৫৯%। প্রতিবেশী ভারতে (২.৭৯%) তাদের থেকে কিছুটা বেশি হলেও পাকিস্তানে (১.৪৮%) তুলনামূলকভাবে অনেক কম। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলঙ্কায় মৃত্যুহার ৩.১৪%। সুতরাং বলা যায় বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তদের মিছিল দিন দিন যেমন বাড়ছে, তেমনি মৃত্যুহারও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। তারপরেও অনেকে আশার বাণী শোনাচ্ছেন।

তারা বলছেন, বাংলাদেশে করোনা হিসাব নিকাশে ভুল হবার কারণেই এটা হচ্ছে। তারা বলছেন, করোনা উপসর্গ আছে এমন রোগীদের সঠিক পরীক্ষা নিশ্চিত করে আক্রান্ত রোগীর প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করতে ব্যর্থ হলে করোনা রোগে মৃত্যু হার বাংলাদেশে বিশ্বের মধ্যে প্রথম বা দ্বিতীয় হবে এটাইতো সাভাবিক! তাদের আশঙ্কা, সরকার ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে বাস্তবে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি বলেই হয়তো মৃত্যুহার এমন অস্বাভাবিক রকম বেশি। যাই হোক পরিশেষে এটুকু আবেদন, সবাই নিজের এবং নিজ পরিবারের কথা চিন্তা করে হলেও সচেতন হবেন, জনসমাগম এবং শারীরিক দূরত্ব যথাসম্ভব বজায় রাখবেন, সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত থাকতে চেষ্টা করবেন এবং বিত্তবানরা অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসবেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print