ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সারারাত রাস্তায়’ই পড়েছিল নারায়ণগঞ্জের গিটারিস্ট রাকিবের লাশ!

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় জ্বর-সর্দিসহ প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে মারা যান নারায়ণগঞ্জের সংগীতাঙ্গনের অত্যন্ত প্রিয়মুখ বেজ গিটারিস্ট রাকিব ওরফে হিরু।

সোমববার দিবাগত রাত ২টায় সে মারা যায়। মৃত্যুর পরপরই তার মরদেহ চাঁদর দিয়ে পেঁচিয়ে এনে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। কোনো খাট ছিল না। এমনকি একটা মানুষও ছিল না লাশটির কাছে! সারারাত লাশটি রাস্তায়’ই পড়েছিল।

এর আগে তার শারীরিক অবস্থার যখন অবনতি হয় তখন তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। কিন্তু রোগীর জ্বর-সর্দি এবং শ্বাসকষ্ট রয়েছে অর্থাৎ তার করোনার উপসর্গ এমনটা জানতে পেরে অ্যাম্বুলেন্স চালকও গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।

ফলশ্রুতিতে তাকে আর হাসপাতাল পর্যন্ত নেয়া যায়নি। ডাক্তার, ওষুধ, চিকিৎসার অভাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অনেকের প্রিয় বেজ গিটারিস্ট হিরু।

হিরু শহরের দেওভোগ কৃষ্ণচূড়া মোড়ের রতন ও ইকবালের বাড়িতে থাকতেন। দেড় বছরের ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে এখানেই বসবাস করতেন তিনি। সাথে হিরুর বোনও থাকতেন। পরিবারের বাকি সব সদস্যরা ঢাকায় বসবাস করেন। পরিবারের কোনো পুরুষ লোক ছিল না। এলাকাবাসীও এগিয়ে আসেনি। যার কারণে বেওয়ারিশ লাশের মতই হিরুর মরদেহটি রতভর পড়েছিল রাস্তায়।

এদিকে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকার খবরটি জানার পর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ আফসানা আফরোজ বিভা স্থানীয় থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তার টিমসহ। তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় লাশ দাফনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই প্যানেল মেয়রের ভাষ্য মতে, বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক।

আফসানা আফরোজ বিভা এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হিরু গত দুই বছর ধরেই স্কিনজনিত রোগে ভুগছিলেন। এরমধ্যে গত ২৬ মার্চ থেকে তার জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। পরে শহরের একজন প্রাইভেট ডাক্তারকে দেখালে বেশ কিছু পরীক্ষা করানো হয়। এতে তার ফুসফুসে পানি জমা ছিল বলে চিকিৎসকরা জানান এবং ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়ে ওষুধ খেতে বলেন। কিন্তু জ্বর, সর্দি আর শ্বাসকষ্ট না কমায় তার পরিবার এরমধ্যে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে চিকৎসকের ভর্তি না নিয়ে পুনরায় ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।

তিনি আরও জানান, সোমবার তার শ্বাস কষ্টের সমস্যা আরও প্রকট হয়। এরমধ্যে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বাড়িতেই মারা যান। পরে তার মরদেহ বাড়ির বাইরে এনে রেখে দেয়া হয় এবং লাশের কাছে ভয়ে আর কেউ আসেনি। সারারাত লাশটি সেখানেই পরেছিল। সকালের দিকে খবর পেয়ে স্থানীয় থানা পুলিশ এবং আমার টিমসহ ঘটনাস্থলে যাই। সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদিকে হিরোর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, সোমবার রাতে হিরুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফের ঢাকায় নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করেন। হিরুকে বাইরে আনা হয়, অ্যাম্বুলেন্সে উঠানোরও প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু জ্বর-সর্দি শ্বাসকষ্টের রোগী শুনে করোনা আতঙ্কে চালক পালিয়ে যায়। এরপরই সে মারা যায়। ফলে তার মরদেহ আর বাড়িতে না ঢুকিয়ে গেটের কাছেই ফেলে রাখা হয়।

এদিকে একটি পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, হিরুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তার পরিবার। কিন্তু এলাকাবাসী প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে দিবে না এবং বের হতেও দিবে না জানিয়ে বাধাও দিয়েছিলেন।

তবে, এ অভিযোগটি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তরিকুল ইসলাম।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print