
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন চট্টগ্রামের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিধ মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এনিয়ে চট্টগ্রামে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ বন্যা বয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে নগরীর প্রতিটি এলাকায় আনন্দ মিছিল কোথাও তোথাও মিষ্টি বিতরণ হয়েছে।
তবে কোন ধরণে আনন্দ উল্লাসের পক্ষে নয় খোদ ব্যারিষ্টার নওফেল। সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ যুবলীগ আনন্দ মিছিলের ঘোষণা দিলেও পরে তা স্থগিত করে ব্যারিষ্টার নওফেলে নির্দেশে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।
এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আলাপকালে নুরুল আজিম রনি বলেন, যোগ্য নেতৃত্বের মুল্যায়ন হয়েছে। আমরা আবেগাপ্লুত এবং আনন্দিত। চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ যুবলীগের রাজনীতিতে নেপথ্যে তাঁর যে ভূমিকা ছিল তার মুল্যায়ন হয়েছে।
রনি বলেন, ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান ছাত্রলীগ যুবলীগের রাজনীতির জন্য একটি গাইড লাইন । নগর ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। তাঁর দিক নির্দেশনায় আমরা ছাত্র রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পেরেছি। রাজনীতির নেপথ্যে তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ এবং নেতা।

নগর ছাত্রলীগের এ নেতা আরো বলেন, মহিবুল হাসান একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। অনেকে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে পদ প্রাপ্ত হয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে যুক্ত হন বা নিজের অবস্থান সৃষ্টি করেন। কিন্তু ব্যারিষ্টার নওফেল তার ব্যতিক্রম একজন রাজনীতিবিদ।
তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে চট্টগ্রামের আগামী রাজনীতি আরো বেগবান হবে বলেও মনে করেন নগর ছাত্রলীগ নেতা রনি।
দুই বছর আগে ঘোষিত কমিটিতে তাকে নগর আওয়ামী লীগের সদস্য করা হয়। মহিউদ্দিনের অনুসারী নগর আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের উপর দৃশ্যত প্রভাব আছে নওফেলের।
চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।
রাজনীতিতে তরুণ নওফেল মনে করছেন, তার এই অর্জন তার বাবা মহিউদ্দিনের ত্যাগের স্বীকৃতি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এর উপযুক্ত মূল্যায়ন পেয়েছেন।
ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নওফেলের নাম ঘোষণা করা হয়।
নওফেলের নাম ঘোষণার পর থেকে চট্টগ্রামে মহিউদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে এর রেশ।

টেলিফোনে একাধিকবার প্রচেষ্টার পর প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় নওফেলের সাথে। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আমার বাবার অবদান আছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন আমার বাবা। কারাবরণ করাসহ দুঃসময়ে চট্টগ্রামে দলের হাল ধরেছেন।
বাবার ত্যাগের স্বীকৃতি আমি পেয়েছি। দলের জন্য তার দীর্ঘ অবদানের পুরস্কার হচ্ছে আমার এই পদ। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে আমি নবীন। বাবাসহ সকল শ্রদ্ধেয় নেতার উপদেশ-পরামর্শ নিয়ে আমি চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে গতিশীল রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করব
মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে নওফেল লন্ডন থেকে আইনে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। দেশে ফিরে পর্দার আড়াল থেকে ছিলেন বাবার রাজনৈতিক সহযোগী।