
দৈনিক যুগান্তরের চট্টগ্রাম স্টাফ রিপোর্টার নাসির উদ্দিন রকিকে লাঞ্চিতের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনেষ্টেবল জাহাঙ্গীর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সাংবাদিক নাসির উদ্দিন রকিকে লাঞ্চিতের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল জাহাঙ্গীরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কর্মস্থল মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্র থেকে জেলা পুলিশ লাইনে তাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় কনস্টেবল জাহাঙ্গীরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা। রাউজানের বাড়ি থেকে কর্মস্থল দৈনিক যুগান্তর অফিসে যাওয়ার সময় কাপ্তাই সড়কের হাটহাজারী উপজেলার কুয়াইশ কলেজের সামনে দায়িত্ব পালন করছিল একদল পুলিশ সদস্য। ওই স্থানে মোটরসাইকেল নিয়ে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল জাহাঙ্গীর কোন কিছু না বলে না জেনে আমাকে বেদরক পেটাতে থাকে। (বলতে থাকে লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় বেরিয়েছিস কেন)। এ কথা বলতে বলতে পেটাতে থাকে। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ছিলাম আমি।
চালকের আসনে ছিল আমার ছোটভাই (একটি বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাবে কর্মরত) দু’জনের পরিচয়পত্র গলায় ছিল। তাকে (জাহাঙ্গীরকে) বার বার নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও খ্যান্ত হয়নি। তবে এ দৃশ্য দুর থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন ওই স্থানে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই মামুন। পরে তিনি এসে কনস্টেবল জাহাঙ্গীরের লাঠি থামান।
পরে বিষয়টি মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো.জব্বারুল ইসলাম অবহিত হওয়ার পর তিনি আমাকে এবং কনস্টেবল জাহাঙ্গীরকে নিয়ে মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রে যেতে বলেন। সেখানে কনস্টবল জাহাঙ্গীরের কাছে পেঠানোর বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি (জাহাঙ্গীর) ইনচার্জ জব্বারুল ইসলামকে বলেন, আমার মেজাজ খারাপ ছিল। এ কারেন-। ঘটনাস্থলে থাকা এএসআই মামুনও জব্বারুল ইসলামকে বলেন, স্যার কোন কিছু না জেনে এবং আমাকে না বলে জাহাঙ্গীর সাংবাদিকের উপর হাত তুলেছে। আমি এসেই তাকে থামায়। (পরে বিষয়টি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর), হাটাহাজারী থানার ওসিকে ফোনে অবহিত করা হয়।