ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত মা ও শিশু হাসপাতাল

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রবাদে অবস্থিত বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের নব নির্মিত ভবনেই মহামারি করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য ২০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্হ্য সেবায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা, ফ্লু কর্নার ও ভ্যান্টিলেটর সুবিধাসহ সকল সুবিধা থাকছে এ ওয়ার্ডে। এ জন্য এক কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অনুমোদন দিয়েছে হাসপাতালটির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়।

মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের ডোনার সদস্য ও কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাবেদ আবছার চৌধুরী পাঠক ডট নিউজকে এ উদ্যোগের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের সবচেয়ে বড় বেসরকারী হাসপাতাল। ৮৫০ শয্যার নব নির্মিত হাসপাতাল ভবনে ১৪ তলা প্রস্তুত, এখন সাজসজ্জার কাজ চলছে। এই মহামারীতে এই নতুন ভবন করোনা চিকিৎসার জন্য আমরা নির্ধারন করেছি। স্বাভাবিক রোগী ও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সম্পূর্ণ আলাদভাবে এই চিকিৎসা পরিচালিত হবে। আমাদের পর্যাপ্ত ডাক্তার ও জনবল আছে।
আমরা চটগ্রামের সকল স্থরের মানুষের আর্থিক সহযোগীতা প্রত্যাশা করছি।

.

তিনি বলেন সম্প্রতি হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটি ৪৫৩ তম সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে হাসপাতালে প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্লু কর্ণার এবং সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধাসহ অতি দ্রুততম সময়ে প্রি-আইসুলেশন ওয়ার্ড করা। সেখানে যেখানে ফ্লু রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হবে এবং কোবিড -১৯ নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকার এর নির্ধারিত হাসপাতালে পাঠানো হবে। যদি কোন রোগীর কোবিড ১৯ পজিটিভ আসে আপাতত সরকারের নির্ধারিত হাসপাতালে রেফার করা হবে। সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে নতুন হাসপাতাল ভবনে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড করার সিদ্ধান্ত হয়। এই ওয়ার্ড বর্তমান হাসপাতাল এর মূল ভবন থেকে সম্পূর্ন আলাদা এলাকা নির্মিত ১৪তলা বিশিষ্ট ভবনটি দুর্যোগ কালীন সময়ের জন্য শুধুমাত্র ব্যবহৃত হবে।আগামী এক সপ্তাহ পর পুরোদমে পরিকল্পিত সেবা শুরু হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৫০ শয্যার এই নতুন ভবনটি সম্প্রতি নির্মাণ করেছে শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ভবনের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ এগিয়ে চলছে। কিন্তু করোনাভাইরাস প্রকোপের এ সময়ে হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটি এখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়।

মা ও শিশু হাসপাাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ বলেন, ‘এখন চলছে বৈশ্বিক মহামারি। এই মুহুর্তে আমাদের বহুতল বিশিষ্ট নির্মিত ভবনে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এই দুর্যোগ মুহুর্তে আমরা চট্টগ্রামবাসীর পাশে থাকার চেষ্টা করছি। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ব্যবস্থাপনা কমিটি এক কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অনুমোদন দেয়। ’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনার প্রতি আনুগত্য রেখে আর্তমানবতার সেবায় কাজ করা হচ্ছে। আমাদের নির্ধারিত অর্থ বিত্তবানদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে।

জানাগেছে, ইতোমধ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসার ফান্ডে দুইজন ব্যবসায়ী ব্যক্তি ১৩ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print