ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ফৌজদারহাটে চালু হচ্ছে দেশের করোনা চিকিৎসার প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

সাইফুল ইসলাম শিল্পী:

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য দেশের প্রথম একটি অস্থায়ী ৬০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল তৈরী হয়েছে চট্টগ্রামে।

উদ্যোগ নেয়ার পর মাত্র ২৩ দিনে আজ (২১ এপ্রিল)মঙ্গলবার এই হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু এবং রোগী ভর্তি শুরু হবে।

শহরের নিকটবর্তি সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় বেসরকারী একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ভবনে এই হাসপাতাল তৈরী করা হয়েছে।

.

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান নাভানা গ্রুপের দেওয়া একটি দ্বিতল ভবনের ৬ হাজার ৫০০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই হাসপাতালটি। এর জন্য ইতোমধ্যে ১০ টি আইসিইউ বেড ও চারটি ভেন্টিলেটর সংগ্রহ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে মোট ৩৫ জনের একটি দল গঠন করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার বড় ভাই আমেরিকান ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া এ হাসপাতালে উদ্যোগতা। তিনি একমাস আগে ফেসবুকে এ হাসপাতালে নির্মাণের কথা জানিয়ে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি বলেন, মাত্র এক লাখ লোক ১০০ টাকা করে দিলেই এক কোটি টাকার ফান্ড হবে আর এ টাকায় হাসপাতাল তৈরী সম্ভব। এরপর ব্যাপক সাড়া পড়ে। কোন শিল্পপতির কাছে অনুদান চাওয়া হয়নি বলে জানান ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। একলাখ মানুষের টাকা দিয়ে এ হাসপাতাল তৈরী হয়েছে। তবে ভবন ও জায়গা দিয়ে এর সাথে শরিক হয়েছেন নাভানা গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম। তিনি এ হাসপাতাল নির্মাণের অন্যতম উদ্যোগতা।

.

নব নির্মিত এ ফিল্ড হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে প্রায় ২৮৭ জন তরুণ আবেদন করলেও ২৫ জনকে নির্বাচিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে করোনা রোগীর যত্ন বিষয়ক প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইউএনবির সাথে আলাপকালে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, ‘এমন সময়ে আমরা এ হাসপাতালটি স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে চালু করতে যাচ্ছি, যখন সারা দেশে করোনা রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে নানা ধরনের দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছেন। আমরা প্রমাণ করতে চাই করোনা রোগীরা অবহেলার পাত্র নয়। নিজেরা নিরাপদে থেকে তাদের সেবা দেওয়া যায়। আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে আমাদের কার্যক্রম চালু হচ্ছে।

তিনি বলেন-আমরা ৩৭টি বেড স্থাপন করছি। এছাড়াও থাকছে ৫টি ভেন্টিলেটর। একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি মাইক্রোবাস আছে রোগী ও চিকিৎসক পরিবহনে। ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যেই আমরা চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছি। আপাতত আমরা রোগীদের আইসিইউ সুবিধা দিতে পারব না। তবে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও সিভিল সার্জন মহোদয়ের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। প্রয়োজনে জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ সুবিধা নিতে পারবেন রোগীরা।’

‘ঢাকায় যখন আকিজ ও বসুন্ধরা ফিল্ড হাসপাতাল করার ঘোষণা দিল, তখন অনুভব করলাম আমার চট্টগ্রামেও এমন কিছু হওয়া প্রয়োজন। কারণ করোনা এক বা দুদিনের বিষয় নয়। তাই সাধারণ হাসপাতালগুলোতে এর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়। যদি এসব হাসপাতালে করোনা রোগীকে সেবা দেয়া হয় তবে সাধারণ রোগীরা সেবা বঞ্চিত হবেন।’

‘সেই চিন্তা থেকেই চট্টগ্রামে বিভিন্নজনের সঙ্গে আলাপ শুরু করলাম। পরে ফেসবুকে দেয়া আমার একটি স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে নাভানা গ্রুপ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমি বিত্তবানের কাছে যাইনি। ইতোমধ্যেই আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হয়েছেন লক্ষাধিক ব্যবহারকারী। একশ টাকা করে দিলে এক লাখ সাধারণ মানুষে এক কোটি টাকা হয়, খুব অসম্ভব কি? সাধারণ মানুষ এই উদ্যোগের প্রাণশক্তি। তারাই সাহস জুগিয়েছে সবচেয়ে বেশি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print