
জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ৪৩ টি বালির মহালের প্রায় ২শ স্পট থেকে পরিবেশ ধ্বংস করে অবৈধ ভাবে চলছে বালির হরিলুট। এতে হুমকীর মুখে পড়েছে বাড়ি-ঘর, সেমুতাং গ্যাস ফিল্ড ও নেপচুন চা বাগান।
আ’লীগ-বিএনপি-জামায়াত নেতা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা এই হরিলুটের নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের নীরব ভূমিকার কারণে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।
স্থানীয় সূত্র জানায়, হালদা, ধুরুং, ডলু, যোগিনী ঘাট, লেলাং, মানিকপুর, সর্তা , দমদমা, বিনাজুরী, গামারিতলা, হিংগার পুল, রায়পুর, ফনী, ব্রাক্ষনচর হালদা নদী, একখুলিয়া, শোভনছড়ি, ফকিরটিলা, ধর্মছড়ি সংযোগ, আজিম চৌধুরী ঘাট, গজারিয়া খাল এলাকায় ফটিকছড়ির ৪৩টি বালির মহাল অবস্থিত।
এখানে প্রায় ২শ স্পট থেকে চলছে অবাধে বালি পাচার। এ ব্যাপারে ভূমি ও উপজেলা প্রশাসন থেকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
ফটিকছড়ি ভূমি প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, ফটিকছড়ির ১৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় সরকারী তালিকা ভূক্ত ৪৩টি বালু মহাল রয়েছে। তৎমধ্যে চলতি বৎসরে ইজারা হয়েছে মাত্র ১৪টি। বাকি ২৯টি অবৈধ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হালদা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজিং মেশিনে অবাধে বালি উত্তোলনের কারণে হুমকীর মুখে পড়েছে সেমুতাং গ্যাস ফিল্ড ও নেপচুন চা বাগান।

এখানে মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা এলাকার দিকে ১০-১৫টি ড্রেজার মেশিনে রাত-দিন বালি তোলা হচ্ছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, এখানে মানিকছড়ি ও ফটিকছড়ির কতিপয় আ’লীগ নেতার নেতৃত্বে বালি পাচার চলছে।
এদিকে লেলাং খাল ও সর্তা খালে বালি উত্তোলনের কারণে আ’লীগের প্রভাবশালী দুই নেতার অনুসারী যুবলীগের দুইটি গ্রুপে প্রকাশ্যে গোলা-গুলি ও মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। এনিয়ে ফটিকছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, ফটিকছড়ি-মিরশ্বরাই সীমান্তের কয়লা বালির মহালে মিরশ্বরাই এলাকার আ’লীগ নেতা, ফটিকছড়ির আ’লীগ-বিএনপি নেতা, শিবির নেতা এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
এতে দাঁতমারা ও তারাখো রাবার বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। নারায়ণহাট, ভূজপুর, পাইন্দং, সুন্দরপুর, হারুয়ালছড়ি এলাকায় বিভিন্ন বালির মহালে অবৈধ দখলদার সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রলীগ নেতারা।
এসব বালু মহাল থেকে উত্তোলিত বালু পাচারের সময় সরকার রাজস্ব না পেলেও সিন্ডিকেট অবৈধ মাশোহারা দিচ্ছে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে। এসব সিন্ডিকেটে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও জড়িত।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ির সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিমুল হায়দার বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। এখানে পদটি দীর্ঘ্য দিন শুন্য ছিলো। তাই অবৈধ বালি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। এখন আমি এ পদে যোগদান করেছি। অবৈধ বালির মহাল গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।