করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে রাজি না হওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত অস্থায়ী ১০ জন চিকিৎসককে বরখাস্ত ও একজন স্টোর কিপারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
আজ সন্ধ্যায় মঙ্গলবার (১৬ জুন) চসিকের সচিব স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
তারা হলেন-চাকরিচ্যুতরা হলেন, চসিকের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সিদ্ধার্থ শংকর দেবনাথ, ডা. ফরিদুল আলম, ডা. আবদুল মজিদ সিকদার, ডা. সেলিনা আক্তার, ডা. বিজয় তালুকদার, ডা. মোহন দাশ, ডা. ইফতেখারুল ইসলাম, ডা. সন্দিপন রুদ্র, ডা. হিমেল আচার্য্য, ডা. প্রসেনজিৎ মিত্র। এছাড়া অব্যাহতি পেয়েছেন স্টোর কিপার মহসিন কবির।
চসিকের প্রধান স্বাস্থ কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম আকতার চৌধুরী পাঠক ডট নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, চসিক পরিচালিত ও প্রতিষ্ঠিত নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ চট্টগ্রাম সিটি হল কমিউনিটি সেন্টারে ২৫০ শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টারে চসিকের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এনে ১৬ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
বরখাস্ত হওয়া ১০ চিকিৎসক ও একজন স্টোর কিপার আইসোলেশন সেন্টারে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। এ কারণে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তের আগে তাদের কোন কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, এসব চিকিৎসক অস্থায়ী (নো ওয়ার্ক নো পে) ভিক্তিতে চাকুরি করে আসছে। তাই তাদের কোন কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়নি।
চসিক সুত্রে জানাগেছে, ১০ চিকিৎসক ও এক জন স্টোর কিপার এই আইসোলেশন সেন্টারে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ করায় নির্ধারিত সময়েও এটি চালু করা যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে করোনা চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম আইসোলেশন সেন্টারে অবাধ্য এসব চিকিৎসককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহাবক্তব্য ‘যারা মানব সেবা করার শপথ নিয়ে বিপদের সময় অমানবিক কাজ করছেন। সিটি কর্পোরেশনের চিকিৎসক হয়ে অফিস আদেশ মানেনি, তাদের চাকরি করার কোনও অধিকার নেই। তাদের সরকার ঘোষিত প্রণোদনা দেওয়া হবে। মেয়র মহোদয় দ্বিগুণ বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সকল সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপর কাজে যোগ না দেওয়া তা খুবই দুঃখজনক।’
‘প্রতিষ্ঠারের শৃঙ্খলা রক্ষায় ও অমানবিক কাজ করায় দশ চিকিৎসক ও একজন স্টাফকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেখানে মোট ১৬ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে একজন অসুস্থ আর পাঁচজন আছে। এখন নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে তাদের ট্রেনিং দিয়ে আইসোলেশন সেন্টারটি চালু করতে হবে।’
