ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

প্লাজমা দিয়েও বাঁচানো গেল না পটিয়ার মুক্তিযোদ্ধা মহসীন খাঁনকে

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

প্লাজমা দিয়েও বাঁচানো গেলো না দক্ষিণ চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মহসীন খাঁন (৭৫) কে।

আজ ১৭ জুন বুধবার সকল সাড়ে সাতটার সময় ঢাকার সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি, (ইন্নালিল্লাহে…. রাজিউন)।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জুন শুক্রবার সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি করা হয়। ভর্তির হওয়ার পর তার শরীর হতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।  ১৪ জুন তার শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়।  এসময় তাকে আইসিইউ ভেন্টিলেটরে রেখে এক ব্যাগ প্লাজমা দেওয়া হয়। যদিও আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহায়তা চেয়েছিলেন তার পরিবারের লোকজন।  কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো যায়নি।

মুক্তিযোদ্ধা মহসীন খাঁন ১৯৮৫ ও ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।

এছাড়া পটিয়ার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন ৭১’এর রণাঙ্গনের এ যোদ্ধা।

.

রাজনৈতিক জীবনে স্যার আশুতোষ সরকারী কলেজ সংসদের ভিপি ও জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগের এই ডাক সাইটে নেতা ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা পরবর্তী অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জুলুম-নির্যাতনের শিকার ও একাধিকবার কারাবরণ করেন। মহসীন খাঁনকে ‘জীবন্ত কিংবদন্তি’ উল্লেখ করে একটি বই রচনা করেছেন অধ্যাপক ওমর ফারুক।

মুক্তিযোদ্ধা মহসীন খাঁনের ছোট ছেলে মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন আমার বাবা।  চট্টগ্রামের কোন হাসপাতালে ঠাঁই না পাওয়া মহসীন খাঁনকে রাতেই ঢাকায় নিয়ে যান স্ত্রী ও সন্তানরা।  শুক্রবার ভোররাতে রাজধানীর গুলশান এলাকায় সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে ডাক্তার বলেছেন তিনি হার্ট এর্টাক করে মারা গেছেন।

এদিকে মহসীন খাঁনের মরদেহ রাতে ঢাকা হতে সড়ক পথে পটিয়ায় আনার পর বাদ এশা পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের নাইখাইন গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়েছে।

প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মহসীন খাঁনের চিকিৎসার বিষয়টি তদারকি করছিলেন মুক্তিযোদ্ধা হাজী খায়ের জাহান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রের চেয়ারম্যান ও পুলিশ কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দীন। যুদ্ধকালীন পুরো সময় কোম্পানী কমান্ডার ছিলেন কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধা মহসীন খাঁন।  অন্তিম মুহুর্তে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে একটু উন্নত চিকিৎসা জন্য কাকুতি মিনতি করেছিলেন কিন্তু পান নি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print