
বাংলাদেশে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৬৪ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪০ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ এপ্রিল প্রথম আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ডা: মঈন উদ্দিন আহমেদ। আর চলতি জুন মাসের ১৭ দিনের মধ্যেই ২৫ চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৬ জুন পর্যন্ত সারা দেশে চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টসহ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৬৭ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে, বাংলাদেশে চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু ও আক্রান্তের হার দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশে মেডিক্যাল অ্যাসোসিশনের (বিএমএ) তথ্য অনুসারে ১৬ জুন পর্যন্ত সারা দেশে চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৩১ জন। নার্স আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৪ জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৫২ জন। বিএমএর তথ্য অনুসারে চিকিৎসকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০৪ জন, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০৩ জন, সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫৬ জন, ঢাকার বেসরকারি আসগর আলী হাসপাতালে ২১ জন, হৃদরোগ হাসপাতালে ১১ জন, শেরেবাংলা নগরের নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ১১ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ জন, কিডনি হাসপাতালে ৯ জন, শিশু হাসপাতালে ৬ জন, মহাখালীর ক্যান্সার হাসপাতালে ১০ জন, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ১৩ জন, কুর্মিটোলা হাসপাতালে ১১ জন, এভারকেয়ার (সাবেক এ্যাপোলো) হাসপাতালে ৫ জন, বারডেমে ৭ জন, ইউনিভার্সাল হাসপাতালে ৩ জন, পঙ্গু হাসপাতালে ৯ জন। টিআইবির গবেষণায় বলা হয়েছে, চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন মূলত মানহীন সুরক্ষা সামগ্রীর জন্য।