
চট্টগ্রামে প্রথম লকডাউন হওয়া উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে লকডাউনের শর্ত ভঙ্গ করে বিনা প্রয়োজনে ঘুরাফেরা ও দোকান খোলা রাখায় ১১ ব্যাক্তি ও ৭ দোকানীকে অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ২১ জুন রবিবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উত্তর কাট্টলীতে এ অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ওমর ফারুক।
ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ওমর ফারুক জানান, অভিযানে লকডাউন থাকলেও দেখা যায় কিছু মানুষ অহেতুক প্রয়োজনে রাস্তায় ঘুরাফেরা করছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে যৌক্তিক্ত কারণ না থাকায় ১১ ব্যাক্তিকে অর্থদন্ড করা হয়। উত্তর কাট্টলির বাসিন্দা রাকিব হোসেন আব্দুল হালিম,আব্দুল হামিদ,ফারহান,ইমজান,সোহেল,ইব্রাহিম, রফিক মিয়া,বাবলু মিয়া,সিরাজ মিয়া প্রত্যেক কে ২০০ টাকা করে অর্থদন্ড করা হয়। এছাড়া দোকান খোলা রাখায় ৭ দোকানিকে অর্থদন্ড করা হয়।

দণ্ডিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মিম স্টোরকে ১ হাজার টাকা, নবি স্টোরকে ১ হাজার টাকা,ইস্পা স্টোরকে ১ হাজার টাকা,লাক্সারি স্টোরকে ১ হাজার টাকা, জামান স্টোরকে ৫০০ টাকা, ফারিয়া স্টোরকে ৫০০ টাকা,, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় অসীম ফার্মেসীকে ৫০০ টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, লকডাউন ঘোষনা করা হলে লোকজন সরকারি আদেশ অমান্য করে। স্বাস্থবিধি না মেনে যেমন- মাস্ক বিহিন অযথা ঘুরাফিরা করে,যার ফলে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়।তিনি আরও জানান কিছু ক্ষেত্রে চা এর দোকান সহ গ্রোসারী দোকান খুলে মানুষের ভিড় বাড়িয়ে বেচাকেনা করছে।যার ফলে তাদেরকে এ অর্থদন্ড করা হয়। এবং ভবিষ্যতে দোকান খুলবে না মর্মে সতর্ক করা হয়। অভিযান কালে দেখা যায় আসরের নামাজের সময় একটি মসজিদে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করে,ফলে ইমাম ও মুয়াজ্জিন সাহেবকে অনুরোধ করা হয় যাতে,ইসলামি ফাইন্ডেশন নির্দেশ অনুযায়ী ৫ জনের জামাতে নামাজ পড়া হয়। মাইকিং এর মাধ্যমে সবাইকে লকডাউনের বাধ নিষেধ মেনে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়।
পরিচালিত এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৮ টি মামলায় এই জরিমানা করা হয়,৮৭০০ টাকা। লকডাউন চলাকালীন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে মর্মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান।