
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের সক্রিয় কার্যক্রমের পাশাপাশি এবার আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখেনগরীর খাতুনগঞ্জে ভোগ্যপণ্য মসলার দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ রবিবার (২৮ জুন) দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টার ধরে চলা অভিযানে বেশি দামে মসলা বিক্রি , মুল্য তালিকায় হেরফের ও ঘষামাজা করার অভিযোগে ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অর্ধলাখ (৫০,০০০) টাকা জরিমানা করেছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয় ।

দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে- মেসার্স নারায়ণ ভান্ডার কে ২০০০০(বিশ হাজার) টাকা, মেসার্স চিটাগং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্স কে ১০০০০( দশ হাজার) টাকা, আল্লাহর দান স্টোরকে ১০০০০( দশ হাজার) টাকা, মেসার্স অনিল দেব স্টোর কে ১০০০০(দশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক পাঠক ডট নিউজকে বলেন, খাতুনগঞ্জ বাজারে আজকের অভিযানে বেশ কয়েকটি মসলার আড়তে লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। যেখানে দেখা যায় কয়েকজন আড়তদারের টাঙিয়ে রাখা বিক্রয় মুল্য তালিকা ও ডকুমেন্ট হিসেবে রাখা তাদের ক্রয় মুল্যে অনেক পার্থক্য। যেমন ২৪১০ টাকার এলাচি ৩৬০০ টাকার উপরে বিক্রয়ের প্রমান পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন,অভিযান চলাকালীন অনেক ব্যবসায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সাটানো মূল্য তালিকায় রাখা মুল্য কাটাছেঁড়া করে কমিয়ে রাখে যা তাৎক্ষণিক নজরে আসে। দেখা যায় ২৪১০ টাকার এলাচী বিক্রয় মুল্য তালিকায় লেখা ছিলো ৩৬০০ টাকা পর্যন্ত। ২৪০ টাকার দারুচিনি ৩৭০- ৪০০ টাকা পর্যন্ত, গোল মরিচ ৪২০ টাক থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত, লবঙ্গ ৬৮০ টাকা পর্যন্ত ২৭৫ টাকার জিরা ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করতে দেখা যায়। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট আসায় তারা দাম অনেক কমিয়ে লিখে রাখে যে বিষয়টি হাতেনাতে ধরা পড়ে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন যারা কুরবানির ইদ কে সামনে রেখে মসলা জাতীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে।তাই বাজার মনিটরিংয়ের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।ঈদকে সামনে রেখে যাতে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম অস্থিতিশীল না করতে পারে সেজন্যে এধরণের অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।