
চট্টগ্রামের পটিয়াতে দুই মেয়েকে গলাটিপে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টাকারী সেই পিতা অবশেষে মারা গেলেন। আজ বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে জানায় পুলিশ।
মুখেন্দু বড়ুয়া নামে এ ব্যাক্তি গতকাল বুধবার ভোরে পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের শশুর বাড়িতে দুই মেয়েকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে তিনি মারা যান।
আরও খবর: পটিয়ায় দুই মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা পিতার
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, গতকাল সকালে পুলিশ তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এবং দুই মেয়ের লাশ মর্গে পাঠায়। উদ্ধারের পর থেকে আর মোখেন্দু বড়ুয়ার চেতনা ফেরেনি। ফলে তার দুই মেয়ের মৃত্যুর কারণসহ ঘটনার বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য বুধবার (১ জুলাই) ভোর রাতে কাশিয়াইশ ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ড ভান্ডারগাও এলাকায় প্রভাত বড়ুয়া বাড়ির পাশের একটি বাড়ীতে টুকু বড়ুয়া (১৪) ও ছোট বোন নিশু বড়ুয়া (১১) এর লাশ পাওয়া যায় এবং পাশপাশি তাদের বাবা মুখেন্দু বড়ুয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়। পরে সকালে পুলিশ গিয়ে দুই মেয়ের লাশ উদ্ধার এবং তাদের বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. ইউসূফ জানান, দুই মেয়েকে গলা টিপে হত্যার পর পিতা নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি আরও বলেন-মোখেন্দু বড়ুয়া ঢাকায় চাকুরী করেন। ৫ বছর আগে তার স্ত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। দুই মেয়ে নানার বাড়িতে থাকতো। তারা দুজনের ৮ম ও ৫ম শ্রেণীতে পড়তো।
করোনা পরিস্থিতির কারণে লকডাউন হওয়ায় ২ মাস আগে মুখেন্দু বড়ুয়া গ্রামে এসে শশুর বাড়ীতে থাকতো। মঙ্গলবার রাতে বা বুধবার ভোরে কি কারণে তিনি দুই মেয়েকে হত্যা করে নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেন। পরে আজ দুপুরে তিনিও মারা যান।