ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বিয়ে পাগল ৫৫ বছরের বর ও ১৪ বছরের কনেকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

md-rafik
বিয়ে পাগল দণ্ডিত বর মো. রফিক।

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর উপজেলার ১৪ বছরের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করতে বিয়ে পাগল নাছোড়বান্দা ৫৫ বছরের বর মো. রফিককে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

একই সঙ্গে অর্থের লোভে পড়ে বাল্য বিয়ে করতে রাজি থাকায় কিশোরী কনে ও তার সৎ মা রোজী আকতারকে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

বোয়ালখালি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মাহবুবুল আলম আজ ৫ নভেম্বর শনিবার এ আদালত পরিচালনা করেন।

তিনি জানায়, ৪ নভেম্বর শুক্রবার উপজেলার একটি মসজিদে বাল্য বিয়ের প্রস্তুতি নিলেও জানাজানি হওয়া ভয়ে নগরীর কামাল বাজার কবির টাওয়ার এলাকার একটি ভাড়াবাসা বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুুতি চলছিল। এসময় সংবাদ পেয়ে চান্দগাঁও থানা পুলিশ আটক করে ৫৫ বছর বয়সী বর মো. রফিককে। এরপর শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।

এসময় বর মো. রফিকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ এর ৪ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রস কারাদণ্ড ও ১হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে কনে ও সৎ মা  ১হাজার টাকা করে জরিমানা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তিনি ।

জানাগেছে এর আগের ১৬ অক্টোবর সোমবার এ কনেকে বাল্য বিয়ের চেষ্টাতালে ৫৫ বছর বয়সী ব্যবসায়ী মো. রফিককে এক হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সাথে বিয়ে ভেঙে দিয়ে ওই ছাত্রীর সৎ মা রোজী আকতার ও বাবা বাদশা মিয়াকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেছিলেন। কিন্তু আদালতের সাজার পরও ফের তারা এ বাল্য বিয়ের আয়োজনের মেতে উঠে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রাউজান উপজেলার কচুখাইন গ্রামের মৃত ইউনুচের ছেলে মো. রফিক (৫৫)। নগরীর চান্দগাঁও কাপ্তাই রাস্তা মাথা এলাকায় তার নিজস্ব দুটি ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোকারম জানায়, বর মো. রফিকের অঢেল টাকার বশবর্তী হয়ে কনের সৎমা তাড়াহুড়ো করে এ বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা বাদশা মিয়ার ১ম ঘরের তিন সন্তানের মধ্যে জোৎস্না দ্বিতীয়। বাদশার ১ম স্ত্রী মারা গেলে দ্বিতীয় বিয়ে করেন বাদশা। জোৎস্না খরণদ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

মো. রফিকের ১ম স্ত্রী ইয়াসমিন আকতার (৪০) জানান, ১৯৯৫ সালে পহেলা জুন তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ২১ বছরের সংসারে তিন সন্তানের জন্ম হয়। তাদের বড় ছেলে ইয়াসিন আরফাত (১৯) মালেশিয়ার হেল্প ইউনির্ভাসিটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশুনা করছে। দ্বিতীয় কন্যা সাদিয়া আরাফাত (১৭) ইসলামিক ইউনির্ভাসিটি অব চিটাগাংয়ে ইংরেজি ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত। তৃতীয় কন্যা সামিনা আরাফাত (১২) নগরীর সানমুন স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছে। তবে রফিক ও স্ত্রী ইয়াসমিনের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়া রফিক দ্বিতীয় বিয়ে করছেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print