চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দুষ্টের দমন ও সৃষ্টির লালনের মাধ্যমে অসম্প্রদায়িক স্বৈরাচারমুক্ত সমৃদ্ধশালী একটি বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তিনি বলেন-দেশে আজ বিচারবহির্ভূত অসংখ্য হত্যা হয়েছে। দেশের মানুষের গণতন্ত্র,বাকস্বাধীনতা ও আইনের শাসন না থাকার কারণে এই হত্যাযজ্ঞ চলছে। এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রশাসন নির্ভর হওয়ার কারণে আজ টেকনাফ থানায় অসংখ্য বিচারবহির্ভূত হত্যাযজ্ঞ হয়েছে। সিনহা হত্যার পর, একের পর এক অসংখ্য মানুষকে নির্যাতন, নিপীড়ন ও হত্যা সহ অসংখ্য কুকর্ম বের হয়ে আসছে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
তিনি আজ ১৩ই আগস্ট, বৃহস্পতিবার, বিকালে জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্র ফোরাম আয়োজিত জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতনী ভাই-বোনদের উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন-ভোটারবিহীন অনির্বাচিত সরকারের কারণে দেশের আজ এই অবস্থা। দুর্নীতি-দুঃশাসন সরকারের প্রতিটি রন্ধে রন্ধে ঢুকে গেছে। তাই দুষ্কৃতকারী যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না আসলে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না, আইনের সুশাসন ফিরে আসবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আজ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি আর দুর্নীতি। করোনাকালীন সময়ে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দুর্নীতি হয়েছে। সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের নামে বরাদ্দকৃত টাকা সরকারি আমলা ও সরকারদলীয় লোকজন লুটপাট করেছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্র ফোরামের সভাপতি বিপ্লব চৌধুরীর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত তালুকদার এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় নেতা কালিপদ ঘোষ, পরিতোষ মানিক, কেন্দ্রীয় হিন্দু ছাত্র ফোরামের সভাপতি রাজিব ধর তমাল, হিন্দু ছাত্র ফোরাম নেতা মোহন দে, বাপ্পি দে, সুব্রত সেন, সুমন দত্ত, জীবন মিত্র রাজ, মিঠুন দাস, রাজীব দত্ত, রাজু দাস, পলাশ দাস, বাপ্পা দে,সাজু দাস, রনি দাস, আকাশ চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
